আজকাল ওয়েবডেস্ক: বেঙ্গালুরুতে সম্প্রতি আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছে। এক ব্যক্তি অফিস যাওয়ার পথে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন। ঘটনার কথা তিনি রেডিটে শেয়ার করার পর সেটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে তিনি উবার অ্যাপ ব্যবহার করে একটি অটো বুক করেছিলেন। অফিসে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজের জন্য তাঁকে দ্রুত পৌঁছতে এই পথ বাছতে হয়। খবর অনুযায়ী,অফিস যাওয়ার এই যাত্রা সাধারণত ১০ মিনিটের মধ্যে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এই যাত্রাই তীব্র হতাশায় পরিণত হয়।
রেডিটে তিনি লেখেন, যাত্রা শুরু হতেই অটোচালক গুগল ম্যাপে একঝলক দৃষ্টিপাত করে তা মিনিমাইজ করে দেন। এরপরই হঠাৎ তিনি ইনস্টাগ্রাম খুলে ফেলেন। তিনি একহাতে গাড়ি চালাতে চালাতে ইনস্টাগ্রাম স্ক্রল করতে থাকেন। এমন আচরণে যাত্রী হতবাক হয়ে পড়েন। যেই রাস্তায় অটো চলছিলো, সেখানে অত্যন্ত ভিড় ছিল। ভিড় রাস্তায় চালক পুরোপুরি মনোযোগ না দিয়ে উলটে ফোন ঘাঁটছিলেন।
সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনা আরও খারাপ দিকে মোড় নেয় যখন চালক স্ক্রল করতে করতে তেলেগু অভিনেত্রী শ্রীলীলার একটি পোস্ট দেখতে পান। এমন সময়ে তিনি রাস্তায় চলন্ত অবস্থাতেই অটো ধীর করে দিয়ে অভিনেত্রীর প্রোফাইল খুলে ছবি ঘাঁটতে শুরু করেন। মাঝ রাস্তায় এমন আচরণে যাত্রী নিজেকে পুরোপুরি অসহায় মনে করা শুরু করেন। তিনি লেখেন, “আমি প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলাম এবং সম্পূর্ণ অসহায় লাগছিল। রাইড সবে শুরু হয়েছিল। কিন্তু আমি তখনই বুঝতে পারছিলাম সময় কেমন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।”
এই পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পর অসংখ্য মানুষ মন্তব্য করেন৷ প্রত্যেকে কোনওনাকোনও অনুরূপ অভিজ্ঞতার কথা জানান। কেউ কেউ বলেন, রাস্তায় চলন্ত অবস্থায় চালকদের মোবাইল ব্যবহার এখন যেন সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক জন মন্তব্য করেন, “এটা অত্যন্ত বেপরোয়া কাজ। রাস্তায় চলতে চলতে একজন অভিনেত্রীর প্রোফাইল দেখতে গিয়ে গতি কমানো মানে নিজের ও অন্যদের জীবন নিয়ে খেলা করা।”
আরেকজন লেখেন, “অনেক অটোচালক ও স্কুটার চালককে দেখি আচমকা রাস্তার পাশে থেমে যায়। কোনো সিগন্যাল না দিয়ে, কারণ তারা তখন ফোনে মগ্ন থাকে। এটা তাদের জন্য খুবই বিপজ্জনক, যারা এদের পেছনে গাড়ি চালিয়ে আসে"।
একজন আবার তিক্ততার সুরে মন্তব্য করেন, “চালকরা এখন মনে করেন তাদের মোবাইল ফোনটা যেন মাথার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যেন মোবাইল না থাকলে তারা চলতেই পারে না। মনে হয় ওরা নিজেরাই দুর্ঘটনার দিকে ছুটে যাচ্ছে।”
ঘটনার জেরে বর্তমানে অনেকেই চালকদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিয়ম চালুর দাবি তুলেছেন। রাইডশেয়ারিং প্ল্যাটফর্মগুলোকেও আরও কড়া মনিটরিং করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে এই ঘটনায় উবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলেই জানা গিয়েছে। সম্প্রতি উবার যাত্রীর এই অভিজ্ঞতা আজকের দিনে শহরের ট্রাফিক ও নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলছে।
