আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভাল চাকরি করতে আমরা সকলেই পছন্দ করি। সেখানে মনের মতো কাজ, মনের মতো বেতন সবই থাকে। অনেকে আবার মনে করেন ভাল চাকরি মানে হল প্রচুর বেতন এবং মুন্সিয়ানা।
তবে নতুন একটি সমীক্ষা থেকে উঠে এসেছে অন্য একটি তথ্য। এসটোনিকা নামে একটি সংস্থা একটি সমীক্ষা করেছে। সেখান থেকে তারা দাবি করেছে কাজের জায়গার আসল চাবিকাঠি হল যেখানে আপনি মন থেকে কাজ করতে পারবেন, আপনার কথাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে, কাজ করার স্বাধীনতা থাকবে, কাজ করার পদ্ধতি সকলের থেকে আলাদা থাকবে।
এসটোনিকার টার্টু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ২৬৩ ধরণের কাজের ওপর সমীক্ষা করেছেন। সেখানে তারা প্রায় ৬০ হাজার মানুষের ওপর সমীক্ষা চালিয়েছেন। তারা কাজ করে কতটা মানসিকভাবে আনন্দে রয়েছেন সেটাই ছিল এই সমীক্ষার প্রধান টার্গেট। পাশাপাশি কাজের পরিবেশ কতটা সকলের স্বাস্থ্যের ওপর নজর পড়েছে সেদিকটিও খতিয়ে দেখা হয়। এরপরই উঠে এসেছে অবাক করা তথ্য।
যেসব কাজে অন্যদের সুবিধা হয় সেইসমস্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা অনেক বেশি মানসিকভাবে সুস্থ থাকেন। এই তালিকায় রয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী, চিকিৎসক, নার্স, লেখকরা। সমীক্ষা বলছে সমাজের সকল স্তরের মানুষদের সেবা করতে হয় বলে এরা সকলেই মানসিকভাবে অনেক বেশি খুশি থাকেন।
অন্যদিকে সমাজের নিচের দিকে যারা কাজ করেন তারা নিজেদের চাকরি নিয়ে মোটেই খুশি থাকেন না। সেই তালিকায় যারা সেলসের কাজ করেন, হোটেলে খাবার দেন, নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করেন তারা রয়েছে। এদের সারাদিন একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে কাজ করতে হয়। তাই তারা কখনই মানসিক দিক থেকে কাজ করে আনন্দ পান না। এখানেই শেষ নয়, এই তালিকায় রয়েছে কর্পোরেট ম্যানেজার, যারা মাসে অনেক টাকা উপার্জন করেন তারাও অসুখী থাকেন।
সমীক্ষকরা মনে করছেন কাজের অতিরিক্ত চাপ কাজ করার স্বাধীনতাকে খর্ব করে। ফলে কাজের সময়তেই কর্মীরা নিজেদেরকে একলা মনে করতে শুরু করেন। এখানে উঠে এসেছে আরও একটি অবাক করা তথ্য। যারা নিজের ব্যবসা করেন তারা চাকরি করার মানুষদের তুলনায় অনেক বেশি মানসিক শান্তিতে থাকেন। তাদের কাজ করার যে স্বাধীনতা থাকে সেটি কাজের ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয় এবং শারীরিকভাবেও তারা অনেক বেশি সুস্থ থাকেন।
