আজকাল ওয়েবডেস্ক: সংঘর্ষের আটদিন। যুদ্ধ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার বদলে, ক্রমেই জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। একাদিকে আমেরিকা হুঁশিয়ারি দিচ্ছে ইরানকে। অন্যদিকে রাশিয়া স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে ইজরায়েলকে। ইজরায়ালের ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে বিবৃতি দিয়ে শুক্রবারেও ইজরায়েলের নানা জায়গায় ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

 

একাধিক আকন্তর্জাতিক এবং সর্বভারতীয়  সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ইরান এবার ইজরায়েলের উপর নিষিদ্ধ ক্লাস্টার বোমা ফেলেছে।  

?ref_src=twsrc%5Etfw">June 20, 2025

একাধিক মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, বৃহস্পতিবার ইজরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইরান ইজরায়েলে ইরান ক্রমাগত বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলেছে, মৃত্যু হচ্ছে সাধারণ মানুষের। সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধে  প্রথম ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের খবর পাওয়া গিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।


ইজরায়েলি সংবাদ প্রতিবেদনে ইজরায়েলি সেনাবাহিনীকে উদ্ধৃত করে জানানো হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রের ওয়ারহেডটি প্রায় ৪ মাইল (৭ কিমি) উচ্চতায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং মধ্য ইজরায়েলের প্রায় ৫ মাইল (৮ কিমি) ব্যাসার্ধে প্রায় ২০টি সাবমেরিন নিক্ষেপ করে।

টাইমস অফ ইজরায়েলের সামরিক সংবাদদাতা ইমানুয়েল ফ্যাবিয়ান জানিয়েছেন, মধ্য ইজরায়েলি শহর আজোরের একটি বাড়িতেও একটি ছোট বোমা আঘাত হানে, যার ফলে কিছু ক্ষতি হয়। 

কিন্তু কেন ক্লাস্টার বোমা ভয়ঙ্কর, কেনই বা নিষিদ্ধ?

কারণ, ক্লাস্টার বোমা নিক্ষেপের সময়, তা ফেটে গিয়ে, আরও একাধিক ছোট বোমা বেরিয়ে আসে। মূলত বিস্তীর্ণ এলাকায় বিস্ফোরণের জন্য এই বোমা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এতে মূল বিস্ফোরণের পরেও চলতে থাকে ছোট ছোট বোমা বিস্ফোরণ। বিপুল ক্ষয়ক্ষতি, প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে এতে। 

 ২০০৮ সালে ‘কনভেনশন অফ ক্লাস্টার মিউনিশনস’ আন্তর্জাতিক চুক্তিতে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়।  যদিও ইরান, ইজরায়েল, চীন, আমেরিকা রাশিয়ার মতো দেশ আবার ওই চুক্তির অংশ নয়।