আজকাল ওয়েবডেস্ক: যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ফের বিতর্কিত পদক্ষেপ নিল ইরান। তারা ইজরায়েলের ৩ গুপ্তচরকে ফাঁসি দিয়ে দিল। এটি তারা করল যখন ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলছে। ইরানে এই তিনজনকে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ফাঁসির সাজা দেওয়া হল।
পাশাপাশি ইজরায়েলের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য আরও ৭০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ইরান। তাদের নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেটি স্পষ্ট করা হয়নি ইরানের পক্ষ থেকে। ইরানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের দাবি, ইরানের যে ভাষায় আমেরিকার আগ্রাসনের জবাব দিয়েছে, তাতে শত্রুপক্ষ যুদ্ধবিরতির রাস্তায় যেতে বাধ্য হয়েছে। যুদ্ধবিরতির জন্য ট্রাম্প কার্যত ভিক্ষা চাইছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে।
কাতারে আমেরিকার সেনাঘাঁটির উপর ইরান হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পরই ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এই মুহূর্তে দুই দেশের যে সমস্ত সামরিক অভিযান চলছে, তা মিটিয়ে নিয়ে আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলে জানান।
আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও চুক্তি হয়নি বলে জানালেও, শত্রুতায় ইতি টানার বার্তা দেয় ইরানও। ইজরায়েল হামলা না চালালে, তাদের তরফেও আর আঘাত হানা হবে না বলে জানায়। তেল আভিভ থেকেও একই বার্তা আসে।
কাতারে আমেরিকার সেনাঘাঁটিতে যে আঘাত হানে ইরান, তার পরই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলেও দাবি ওই টেলিভিশন চ্যানেলের। বলা হয়, "কাতারে আমেরিকার আল উদেইদ ঘাঁটিতে ইরান আঘাত হানার পর, কার্যত ভিক্ষা চাওয়ার মতো করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আর্জি জানান। আল উদেইদ ঘাঁটিতে ইরান হামলা চালানোর মাত্র এক ঘণ্টা পর ভিক্ষা চাওয়ার মতো করে ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন।" সাম্রাজ্যবাদী ইহুদিরা ইরানের উপর যে যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল, তাতে ইতি টানতে ট্রাম্পই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন বলে দাবি করা হয়েছে।
যদিও ট্রাম্প সম্পূর্ণ উল্টো দাবি করছেন। তাঁর বক্তব্য, 'প্রায় একই সময়ে ইরান এবং ইজরায়েল আমার দ্বারস্থ হয়, শান্তির কথা বলে। আমিও জানতাম সময় হয়েছে। গোটা পৃথিবী, পশ্চিম এশিয়াই আসল বিজয়ী। ভবিষ্যতে ভালবাসা, শান্তি এবং সমৃদ্ধি অপেক্ষা করছে দুই দেশের জন্যই। অনেক কিছু পাওয়া বাকি ওঁদের। সত্য এবং ধর্ম থেকে বিচ্যুত হলে অনেক কিছু হারাতেও হতে পারে। ইজরায়েল এবং ইরানের সামনে অফুরান ভবিষ্যৎ'।
