আজকাল ওয়েবডেস্ক: শেষপর্যন্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হল। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দাবি মত হামাস তিন পণবন্দির নাম প্রকাশ করতেই নির্ধারিত সময়ের তিন ঘন্টা পর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এসবের মধ্যেও ইজরায়েল গাজায় হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। গাজার প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে যে, ইজরায়েলি হামলায় নূন্যতম আটজন নিহত হয়েছেন। ইজরায়েলি সামরিক বাহিনীও নিশ্চিত করেছে যে, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নির্দেশই গাজায় হামলা চালানো হয়েছে। গাজার প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানিয়েছেন যে, গাজার উত্তরে তিনজন এবং গাজা সিটিতে পাঁচজন নিহত হয়েছে। আহতের সংখ্যা ২৫ জন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয় ইজরায়েল-হামাস সংঘাত। তারপর থেকে যুদ্ধবিরতির জন্য লাগাতার মধ্যস্থতা করছিল কাতার, মিশর, সৌদি আরবের মতো রাষ্ট্রগুলি। ইজরায়েলকে পূর্ণ সমর্থন দিলেও যুদ্ধ থামাতে উদ্যোগী হয় আমেরিকাও। চলতি জানুয়ারি মাসেই মিশরের কায়রোতে আলোচনায় বসে হামাস ও ইজরায়েলের প্রতিনিধিরা। দুপক্ষের বৈঠক সদর্থক হয়। 

শেষ পর্যন্ত জানা যায়, রবিবার তিন বন্দিকে মুক্ত করবে হামাস। যার মাধ্যমেই শুরু হবে যুদ্ধবিরতি। ধাপে ধাপে ৩৩ জন বন্দিকে ইজরায়েলের হাতে তুলে দেওয়া হবে হামাসের তরফে। অন্যদিকে, জেলেবন্দি ২ হাজার জন প্যালেস্তিনীয়কে মুক্ত করবে ইজরায়েলও। 

তবে যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘন্টা আগেই তীরে এসে তরি ডোবার আশঙ্কা তৈরি করেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। হুঁশিয়ারির সুরে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, "প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বন্দিদের তালিকা না দেওয়া পর্যন্ত আমরা যুদ্ধবিরতির পথে এক পাও হাঁটব না। ইজরায়েল কোনওভাবেই চুক্তি লঙ্ঘন সহ্য করবে না। এবং এই চুক্তি যদি শেষ পর্যন্ত না সফল হয়, তবে তার জন্য শুধুমাত্র দায়ী থাকবে হামাস।"

যদিও শেষ অবধি চুক্ত অনুসারে বন্দিদের নামের তালিকা দিয়েছে হামাস। ফলে যুদ্ধবিরতির সূচনা হল গাজায়।