আজকাল ওয়েবডেস্ক:  পৃথিবীতে যদিন থেকে মাটি রয়েছে সেদিন থেকেই মাটিকেই নিজের সবথেকে বড় ঘর করে তুলেছে কৃমি। আজও মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে কৃমির কোনও বিকল্প নেই। এমনকি মানুষের দেহেও রয়েছে কৃমির বাস। তবে এবার অবাক করা ঘটনা সামনে এল কৃমির কাহিনী নিয়ে।


গবেষকদের হাতে একটি বিরাট আবিষ্কার চলে এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে একটি বিশেষ প্রজাতির কৃমি পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। তবে ৪৬ হাজার বছর পর সেই কৃমি ফের একবার বেঁচে উঠেছে। ইউনিভার্সিটি অফ কলোঞ্জের প্রফেসর এবং তার টিম এই বিশেষ তথ্যটি সামনে নিয়ে এসেছে।


কীভাবে এতগুলি বছর ধরে এই কৃমি হারিয়ে গিয়েছিল সেটি এই গবেষণার বিষয় নয়। তবে এত হাজার বছর পর কীভাবে এই কৃমি ফের একবার কীভাবে পৃথিবীতে প্রাণ ফিরে পেল সেটাই এখন প্রধান চিন্তার বিষয় গবেষকদের কাছে। 

 


সাইবেরিয়া এমন একটি জায়গা যেখানে সারা বছর বরফে ঢাকা থাকে। এখানকার মাটি বরফের স্তরের নিচে থাকে। ফলে সেখান থেকে কোনও কিছু মাথা তুলে বের করা সম্ভব নয়। শীতের বিরাট প্রভাব এখানকার পরিবেশকে ঢেকে রেখেছে। তাহলে কীভাবে এতগুলি বছর ধরে এই প্রাণীটি নিজের জীবনকে অতি সহজে যেন থামিয়ে দিয়েছিল। ফের এত হাজার বছর পর ফের নিজের প্রাণ ফিরে পেল সেটাই বড় চিন্তার বিষয়।

 

 

এমনিতেই কৃমির প্রকৃতি অনুসারে সে দীর্ঘদিন ধরে মাটির নিচে নিজেকে রাখতে পারে। এমনকি বছরের পর বছর কিছু না খেয়েও কৃমি নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। সেদিক থেকে দেখতে হলে এতগুলি বছর ধরে হয়তো এই কৃমি নিজেকে মাটির নিচে বাঁচিয়ে রেখেছিল। সেখান থেকে এবার সে ধীরে ধীরে মাথা তুলছে।


তবে আরেকদল বিজ্ঞানী মনে করছে এই ঘটনাটি বিশ্ব উষ্ণায়নের একটি ফল হতে পারে। যেভাবে মাটির নিচের তাপমাত্রা বাড়ছে সেখান থেকে বরফ তার ক্ষমতা হারিয়েছে। ফলে এত হাজার বছর ধরে মাটির নিচে যে ঘুমিয়ে ছিল সে এবার মাথা তুলেছে। মাটির নিচে প্রায় ৩৭ মিটার নিচে থেকে এই কৃমির সন্ধান মিলেছে। এবার তাকে নিয়ে আরও গবেষণা করতে চান বিজ্ঞানীরা।