আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহিলা সেজে এক হাজার জনেরও বেশি পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন এক ব্যক্তি। গোপনে তাঁদের ভিডিও রেকর্ড করে সেগুলি অনলাইনে পোস্ট করেছিলেন বলে অভিযোগ। অশ্লীল ভিডিও অনলাইনে শেয়ার করার অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের নানজিং শহরে ঘটেছে। লোকটির নাম জিয়াও। তিনি বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপে ভিডিও শেয়ার করে সেখান থেকে অর্থ উপার্জন করতেন। সেখান থেকেই তাঁর কিছু ভিডিও ফাঁস হয়ে যায়। ভিডিওতে থাকা কয়েকজন নিজেদের চিনতে পেরে জিয়াওর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। এই ভয়াবহ ঘটনাটি চীনা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ট্রেন্ডিং।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জিয়াও একজন মহিলার পোশাক পরে পরচুলা, মেকআপ এবং লম্বা স্কার্ট পরে সেজে থাকতেন। জিয়াও পুরুষদের তাঁর বাড়িতে ডেকে গোপন ক্যামেরায় যৌন সংসর্গের ভিডিও করে রাখতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় "নানজিং আঙ্কেল রেড" নামে পরিচিত জিয়াও ভিডিও দেখানোর জন্য ব্যক্তি প্রতি ১৫০ ইউয়ান (২১ মার্কিন ডলার) ফি নিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়া কয়েকজন বুঝতে পেরেছিল একজন পুরুষ। জিয়ান ওই ব্যক্তি সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য কোনও টাকা নেননি। তবে, তাঁদের ছোট ছোট উপহার আনতে বলেছিলেন, যেমন ফল, খাবার ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: টাকা নেই নাসার! দু’হাজারেরও বেশি কর্মীকে ছেঁটে ফেলতে পারে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা, দাবি সূত্রের
জিয়াও দাবি করেছেন, তিনি ১৬৯১ জন ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সংসর্গে লিপ্ত হয়েছিলেন। যদিও পুলিশের সন্দেহ সংখ্যাটি বাড়িয়ে বলছেন জিয়াও। তাঁর সঙ্গে কতজন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন এবং এই এইভাবে জিয়াও কত টাকা আয় করেছিলেন সে সম্পর্কে কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। পুলিশ জিয়াওর ভিডিও ক্লিপ এবং ছবি শেয়ার না করার জন্য জনগণকে সতর্ক করেছে। তবে, জড়িত ব্যক্তিদের ঘনিষ্ঠ ছবি চীনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ঝড়ের মতো।
যে সকল ব্যক্তিদের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে তাঁদের একজনের মা কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষকতা করেন এবং একজনের বাগদত্তা সেই ভিডিওগুলি দেখতে পেয়েছিলেন। অনেকেই চিন্তিত এই বিকৃত যৌন কার্যকলাপের ফলে ভুক্তভোগীদের শরীরে প্রভাব পড়তে পারে।
একজন লিখেছেন, “আমি চিন্তা করছি কত জন মহিলা ওই ব্যক্তির লালসার শিকার হয়েছেন।“ অন্য একজন লিখেছেন, “ভেবেই ভয় লাগছে আপনার আশেপাশের কেউই হয়তো লাল কাকুর অতিথি ছিলেন।”
নানজিংয়ের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র চীনা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, যারা আক্রান্ত হতে পারেন বলে চিন্তিত তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এক আইনজীবীর জানিয়েছেন, যদি কেউ জানেন যে তিনি সংক্রামক রোগ বহন করছেন, এবং তিনি যদি একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন, তাহলে তাঁদের তিন থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে স্যাঁতস্যাতে আবহাওয়া ভয় ধরাচ্ছে জলবাহিত রোগ! আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ, কী পরমর্শ বিশেষজ্ঞদের
