আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুল্ক সংঘাত ক্রমশ জোড়াল হচ্ছে। বিশ্ব বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা তীব্রতর হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চিনাআমদানিকৃত পণ্যের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের তিনদিনের মধ্যে পাল্টা পদক্ষেপ করল বেজিং। মার্কিন পণ্যের উপর ১৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করল চিন। তবে সমস্ত পণ্যে এই বর্ধিত হারে শুল্ক কার্যকর হবে না। কয়লা এবং তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর ১৫ শতাংশ কর বসানো হয়েছে। তেল এবং কৃষির সরঞ্জামের উপর থাকবে ১০ শতাংশ শুল্ক।

চিনের বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, আমেরিকা একপাক্ষিকভাবে শুল্ক বাড়াচ্ছে তাতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম লঙ্ঘন হচ্ছে। এছাড়াও চিন গুগলের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। মঙ্গলবার স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর মার্কেট রেগুলেশনের এক বিবৃতি অনুসারে, চিন মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের বিরুদ্ধে বিশ্বাস-ভঙ্গের অভিযোগ করেছে। 

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনের ট্রাম্প-জিনপিংয়ের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। যা 'পারস্পারিক যুদ্ধে'র আবহে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এ ছাড়া, রাষ্ট্রপুঞ্জে চিনের প্রতিনিধি ফু কং জানিয়েছেন, আসন্ন নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকেও চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই এবং আমেরিকান বিদেশসচিব মার্কো রুবিও-র সাক্ষাৎ হতে পারে। উঠে আসতে পারে শুল্ক আপোপের বিষয়টি। 

গত শনিবার কানাডা, মেক্সিকো এবং চিনের পণ্যের উপর চড়া হারকে আমদানি শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেছিল ট্রাম্প সরকার। জানানো হয়েছিল যে, চিন থেকে আমদানি করা সামগ্রী থেকে ১০ শতাংশ নেবে ট্রাম্প প্রশাসন। নিজের সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথে ট্রাম্প লেখেন, 'ইন্টারন্যাশনাল এমারজেন্সি ইকোনমিক পাওয়ার অ্যাক্টের মাধ্যমে এই কর আরোপ করা হল। কারণ, অবৈধ অনুপ্রবেশকারী এবং বিষাক্ত মাদক আমেরিকার নাগরিকদের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।'