আজকাল ওয়েবডেস্ক: কোটা সংস্কারের দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল ওপার বাংলায়, তার হাত ধরেই মুজিবের দেশে ঘটে যায় রাজনৈতিক পালাবদল। প্রবল বিক্ষোভ, গণ আন্দোলনের মুখে পড়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন মুজিব-কন্যা, শেখ হাসিনা। সেই মুহূর্তেই সোনার বাংলাদেশে জারি হয়েছিল সেনা শাসন, পরে সে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের অনুমোদনে গঠিত হয় অন্তবর্তীকালীন সরকার। 

মাঝের কয়েকমাস বাংলাদেশে চলেছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। তার মাঝেই বিতর্কের ঝড় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির মন্তব্যে। আচমকা সে দেশের এক সংবাদ মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি  মহম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেন, হাসিনার পদত্যাগের কোনও তথ্য নেই তাঁর কাছে। সে দেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘তিনি শুনেছেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন; কিন্তু তাঁর কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই।‘ 

তারপর থেকেই শুরু হয় জোর চর্চা।  অন্তবর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যে বলেছেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি, এটা মিথ্যাচার এবং এটা হচ্ছে তাঁর  শপথ লঙ্ঘনের শামিল।’ মনে করান ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির তিন বাহিনীর প্রধানকে সঙ্গে নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার বিষয়ও। শুধু আসিফ নয়, অন্তবর্তীকালীন সরকারের অনেকেই রাষ্ট্রপতির এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ। পরিস্থিতি বিচারে রাষ্ট্রপতির উইং থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে মীমাংসিত বিষয়ে নতুন করে কোন বিতর্ক সৃষ্টি না হয়। বলা হয়েছে, ‘প্রাক্তনপ্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ইস্যুতে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন মিডিয়ায় যে প্রচারণা চালানো হয়েছে তা জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে।‘  

কিন্তু ওয়াকিবহাল মহল জোর দিচ্ছে এই বিষয়ে আসিফের এক মন্তব্যে। কী বলেছেন আসিফ? রাষ্ট্রপতির মন্তব্যে প্রসঙ্গে আসিফ বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানে বলা হয়েছে, আপনার যদি শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা না থাকে বা আপনি যদি গুরুতর অসদাচরণ করেন, তখন রাষ্ট্রপতি হিসেবে আপনি থাকতে পারেন কি না, সেটি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ সংবিধানে রয়েছে।।‘ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য নিয়ে আলোচনা হতে পারে।