আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভাইরাসকে জব্দ করার কৌশল বহুদিন ধরে বিজ্ঞানীদের মাথায় চলছিল। একটি ভাইরাসের আক্রমণ থেকে প্রাণ যেতে পারে হাজার হাজার মানুষের। তবে তাকে কীভাবে রোখা যাবে সেটাই ছিল লাখ টাকার প্রশ্ন।
কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা মনে করছেন ভাইরাসকে রোখার সবথেকে বড় অস্ত্র হতে পারে ব্যাকটেরিয়া। চিকিৎসকরা মনে করছেন ভাইরাসের জন্ম হয়ে থাকে কোনও একটি ব্যাকটেরিয়া থেকে। তাই তাকে রুখতে হলে দরকার আরেকটি ব্যাকটেরিয়া। তবে সেটি উল্টো চরিত্রের হতে হবে। তাহলেই হবে কেল্লাফতে।
ভাইরাসের প্রধান কাজ হল দেহের ডিএনএ এবং আরএনএ-কে ক্ষতিগ্রস্ত করা। সেই কাজকে রুখতে পারে আরেকটি উল্টোপথের ব্যাকটেরিয়া। এটি অনেকটা বিষে বিষে বিষক্ষয়ের মতো। গবেষকরা পরীক্ষাগারে দেখেছেন যদি কোনও ভাইরাসের জোর বাড়ে তাহলে সেটি এক দেহ থেকে অন্যত্র দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে তাকে রুখতে পারে একটি অন্য চরিত্রের ব্যাকটেরিয়া। সেটি উল্টোপথে লড়াই করে সেই ভাইরাসকে শেষ করতে পারে।
ভাইরাসকে শেষ করেই ব্যাকটেরিয়া নিজেও শেষ হয়ে যাবে। এটি ঠিক অনেকটা আত্মঘাতী হামলার মতোই। শত্রুকে শেষ করে দিয়ে সে নিজেই শেষ হয়ে যাবে। ফলে সেই দেহে যেমন ভাইরাস থাকবে না। ঠিক তেমনভাবে সেই ব্যাকটেরিয়াকেও পাওয়া যাবে না। দেহের ভাইরাসকে শেষ করে দিয়ে সে নিজেও শেষ হয়ে যাবে।
এমন বেশ কয়েকটি ভাইরাস রয়েছে যারা কাউন্টার আক্রমণ করতে পছন্দ করে। তবে ব্যাকটেরিয়া তাদের সেই আক্রমণকেও হারাবে। প্রকৃতির নিয়ম অনুসারে ভাইরাসের এই বাড়বাড়ন্ত কমাতে পারে ব্যাকটেরিয়া। তবে তাকেও শক্তিশালী হতে হবে। দেহে প্রবেশ করেই সে ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই শুরু করবে। এরপর তাকে শেষ করে নিজেই শেষ হয়ে যাবে।
এই ধরণের ব্যাকটেরিয়াকে যদি দেহে আগে থেকে প্রবেশ করানো যায় তাহলে সেখানে দেহে আগে থেকেই প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে। ফলে যদি ভাইরাসের আক্রমণ হয় তাহলে সেখানে দেহ থাকবে সুরক্ষিত। এখানে ব্যাকটেরিয়া দেহের বন্ধু হিসেবে ধরা দেবে।
