আজকাল ওয়েবডেস্ক: মানুষ প্রাচীনকাল থেকেই মাছ খেয়েছে এবং মাছ ধরা একটি দীর্ঘ এবং জটিল প্রক্রিয়া। প্রাথমিক মানুষরা সম্ভবত মাছ ধরা এবং খাওয়ার কৌশলগুলি পর্যবেক্ষণ এবং অভিজ্ঞতা থেকে শিখেছিল। বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ থেকে জানা যায় যে, প্রাগৈতিহাসিক যুগেও মানুষ মাছ খেত। 
প্রাচীনকালে মানুষ কীভাবে মাছ খেতে শিখেছিল, তার কিছু সম্ভাব্য কারণ: 
পর্যবেক্ষণ: মানুষ সম্ভবত অন্যান্য প্রাণী বা পাখিদের মাছ শিকার করতে দেখেছে এবং তাদের কাছ থেকে মাছ ধরার কৌশল শিখেছে।


অভিজ্ঞতা: মাছ ধরা এবং খাওয়ার মাধ্যমে মানুষ তাদের ভুল থেকে শিখেছে এবং সময়ের সাথে সাথে কৌশলগুলি উন্নত করেছে।


প্রাকৃতিক দুর্যোগ: বন্যা বা ঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাছ জলের বাইরে চলে আসত, যা মানুষের জন্য সহজে শিকার করা সহজ করত।


উপলব্ধি: কিছু মাছ অগভীর জলে বা তীরে আটকা পড়ত, যা সহজেই সংগ্রহ করা যেত।


সরঞ্জাম তৈরি: মানুষ ধীরে ধীরে মাছ ধরার জন্য বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম তৈরি করতে শিখেছে, যেমন ফাঁদ, জাল, এবং বর্শা।


খাদ্য উৎস: মাছ প্রোটিন, ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির একটি চমৎকার উৎস।


উপলব্ধতা: মাছ পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে পাওয়া যায়, যা মানুষকে খাদ্য নিরাপত্তা প্রদান করে।


সংস্কৃতি: মাছ অনেক সংস্কৃতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য এবং ঐতিহ্যবাহী খাবার।


সুতরাং, মানুষ কীভাবে মাছ খেতে শিখেছিল, তার পেছনে ছিল পর্যবেক্ষণ, অভিজ্ঞতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, এবং উন্নত সরঞ্জাম তৈরির প্রক্রিয়া। মাছ ধরা এবং খাওয়া মানুষের বিবর্তনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং আজও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উৎস হিসেবে বিবেচিত।


তবে এবারই আসল চমকে দেওয়ার পালা। ৭ হাজার বছরের একটি ফসিল সামনে এসেছে সেখান থেকে স্পষ্টভাবে জানা গিয়েছে কীভাবে মানুষ সেই সময় থেকে মাছকে নিজেদের খাদ্যশৃঙ্খলের মধ্যে মাছকে নিয়ে এসেছিল। ফলে সেখান থেকে মাছ ধীরে ধীরে মানুষের অন্যতম সেরা একটি খাবার হিসেবে উঠে আসে। সেই সময় থেকে শুরু। তারপর থেকে মানুষের খাদ্যতালিকাতে মাছ একটি অতি দরকারি প্রাণী হিসেবে উঠে এসেছে।