আজকাল ওয়েবকডেস্ক: হিমাচল প্রদেশের হামিরপুর জেলায় এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। এক বিবাহিত মহিলাকে হামলা ও যৌন হেনস্থার চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত এক ১৪ বছরের কিশোর। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা অভিযুক্ত কিশোরকে প্রতিরোধ করতেই সে তাঁকে কাস্তে এবং লাঠি দিয়ে নৃশংসভাবে আঘাত করে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে সোমবার। ৪০ বছর বয়সি ওই মহিলা তাঁর মাঠে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন। সেখানেই নবম শ্রেণির ওই ছাত্র তাঁকে জাপটে ধরে জোর করে যৌন হেনস্থার চেষ্টা করে। তিনি তখন মরিয়া হয়ে বাধা দেন। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে কিশোরটি তাঁকে লাঠি ও কাস্তে দিয়ে বারবার আঘাত করে। পুলিশের খবর অনুযায়ী, আঘাতে গুরুতর জখম হয়ে মহিলাটি মাঠেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন।
পরে গ্রামের কিছু মানুষ তাঁকে দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন। তাঁরাই মহিলাকে হামিরপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে পরে চণ্ডীগড়ের পিজিআই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই নবম শ্রেণির ওই ছাত্রকে হেফাজতে নিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ভাঙা পেন ও স্কেলের টুকরো পেয়েছে।
হামিরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) রাজেশ শর্মা জানিয়েছেন, জেরার মুখে অভিযুক্ত কিশোর তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ নিশ্চিত যে ওই কিশোর মহিলাটিকে যৌন হেনস্থার উদ্দেশ্যেই এই হামলা করেছিল। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
অন্যদিকে, হামিরপুরের এই ঘটনার ঠিক দু'মাস আগে পঞ্জাবের জলন্ধরেও একই রকম অভিযোগ উঠেছিল। সেখানেও এক কিশোর তার হবু বউকে মাদক খাইয়ে বারবার ধর্ষণ করত বলে অভিযোগ। এমনকী তার এক বন্ধুও এই কুকর্মে যুক্ত ছিল। শুধু তাই নয়, তারা সেই সব আপত্তিকর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিত।
অভিযোগ, বিয়ের পর অভিযুক্ত তার বন্ধুকে নিয়ে তরুণীর সঙ্গে দেখা করত। দেখা হলেই তারা পানীয়ের সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে তাঁকে খাওয়াত। এরপর চলত লাগাতার ধর্ষণ। এরপর তার ভিডিও রেকর্ড করত। জানা গিয়েছে, এমন চলতে থাকলে এই বছর ফেব্রুয়ারিতে তরুণী অভিযুক্তের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন। এরপরই অভিযুক্ত তাকে হুমকি দিতে শুরু করে। আপত্তিকর ভিডিওগুলি অনলাইনে ছড়িয়ে দেয় তারা
২১ বছর বয়সি ওই তরুণী অভিযোগ করেছিলেন যে, তাঁর অভিযোগের পরেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এরপরেই এফআইআর দায়ের হয়। পাঞ্জাব রাজ্য মহিলা কমিশন তখন নিজে থেকেই এই মামলার খোঁজ নেয়। পুলিশকে ২২ আগস্টের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে দ্রুত তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেয়।
