আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতবর্ষের মাটিতে মুঘলরা ৩০০ বছর ধরে রাজত্ব করে গিয়েছেন। একের পর এক মুঘল সম্রাট ভারতে তাদের শাসন করেছেন। তবে এটা অনেকেই জানেন না তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কী ছিল।
 
 বাবর: মুঘল যুগের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বাবর। তিনি অতি দক্ষ যোদ্ধা ছিলেন। তিনি একজন আইনজীবী ছিলেন। তিনি ইতিহাস, ভাষাতে দক্ষ ছিলেন। তুর্কি, হিন্দি, পার্সিয়ান ভাষায় তিনি টানা কথা বলতে পারতেন। পার্সি ভাষাকে উন্নত করতে তিনি অনেক কাজ করেছিলেন।
 
 হুমায়ুন: মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে হুমায়ুন পড়াশোনা করেছিলেন। তার ছেলেবেলা থেকেই শিক্ষায় প্রচুর আগ্রহ ছিল। তিনি ইসলাম নীতিকে মানতেন। পার্সি ভাষাকে তিনি সবথেকে বেশি পছন্দ করতেন। বিজ্ঞানকে তিনি ব্যবহার করতে চাইছেন। 
 
 আকবর: বেশি শিক্ষিত না হলেও আকবর সমস্ত জাতিকে একসঙ্গে নিয়ে চলতে পছন্দ করতেন। ভারতে বিভিন্ন সৌধ করতে তিনি পটু ছিলেন। দর্শন নিয়ে পড়তে পছন্দ করতেন। সকলের মনকে দার্শনিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাইতেন।
 
 জাহাঙ্গীর: তিনি অনেক বেশি শিক্ষিত ছিলেন। ভাষা, বিজ্ঞান, ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। ছবি আঁকতে তিনি বিরাট পছন্দ করতেন। নিজের প্রসাদকে তিনি ছবি দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছিলেন। তার ছবি সেই সময়কার ইতিহাসকে তুলে ধরে। 
 
 শাহজাহান: লড়াইতে তিনি পটু ছিলেন। জীবনকে একটি নিয়মের মধ্যে রাখতে পছন্দ করতেন। আরবি ভাষায় তিনি বহু কাজ করেছিলেন। স্কলারশিপ ব্যবস্থা তার সময় চালু হয়। তাজমহল তৈরি করে তিনি বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। নিজের সভায় তিনি কবি, গায়ক, সাহিত্যিকদের স্থান দেন।
 
 
 ঔরঙ্গজেব: কোরানকে যাতে সকলের ঘরে পৌঁছে দেওয়া হয় সেদিকে তিনি জোর দেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্কুল তৈরি করেছিলেন। সকলে যাতে শিক্ষার আলো পায় সেদিকে বিশেষ জোর দিয়েছিলেন ঔরঙ্গজেব।
 
 তাহলে দেখা যাচ্ছে মুঘলরা প্রতিটি সময়ে ভারতে নিজেদের ছাপ রেখেছেন। তারা এই দেশের সঙ্গে মিশে গিয়ে এখানকার ঐতিহ্য মেনে নিজের উন্নতির সঙ্গে গোটা দেশের উন্নতির কাজে হাত লাগিয়েছিলেন।
