সমীর ধর, আগরতলা: হরিষে বিষাদ একেই বলে! ভারতের টি২০ বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে ত্রিপুরায় শনিবার রাতে ঝরে গেল দুটি তরতাজা প্রাণ। আহত আরও দুজন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। ১৩ বছরের খরা কাটিয়ে ভারতের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্ত থেকে গোটা দেশের সঙ্গে আনন্দের জোয়ারে ভাসতে থাকে ত্রিপুরাও। চারদিক মুখর হয়ে ওঠে বাজির শব্দে। ঝিরঝিরে বৃষ্টির মধ্যেই আগরতলার রাস্তায় রাস্তায় বেপরোয়া গাড়ি বাইক স্কুটার ছুটিয়ে জয়োল্লাস যাপন চলতে থাকে যুবকদের। বাইক ছুটিয়ে যাচ্ছিলেন জয়নগরের অল্পবয়সী যুবক রাতুল বণিকও। মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা-র বাড়ির দেড়শো গজের মধ্যে লক্ষীনারায়ণ বাড়ি রোডে পৌঁছতেই ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। একটি স্কুটারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রাতুলের। রণি সূত্রধর নামে আরেক যুবক গুরুতর আহত অবস্থায় জিবি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। গভীর শোকের আবহ জয়নগরে। সিপাহিজলার বিশ্রামগঞ্জে জাতীয় সড়কের ওপর কর্তব্যরত পুলিশ কনস্টেবল জাকির মিয়াঁ-কে প্রবল বেগে এসে ধাক্কা মারে আনন্দে উন্মাতাল একটি বাইক। আগরতলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা জাকিরের অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। আরেক রকম দুর্ঘটনায় সাব্রুমে মৃত্যু হয়েছে দেবব্রত দেবনাথ নামে একজনের। তিনি খেলা দেখার পর উচ্ছ্বসিত অবস্থায় অসাবধানে টিভির সুইচ বন্ধ করতে গিয়ে তড়িদাহত হন এবং প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মারা যান বলে পুলিশ জানিয়েছে। অবশ্য এই আনন্দের ফাঁকে নিশিকুটুম্বরাও বেরিয়ে নির্বিঘ্নে আপন কার্য সমাধায় মন দিয়েছিল। আগরতলার কর্ণেল চৌমুহনিতে নিজের দোকান বন্ধ করে কাছেই টাঙানো বড় পর্দায় শনি-রাতে খেলা দেখেছেন এক ব্যবসায়ী। রবিবার সকালে গিয়ে দেখেন চোরের দল দোকান ফাঁকা করে গেছে। চৌমুহনিতে অন্য দিনের মতো পুলিশ ছিল। তবে তাঁরাও খেলা দেখায় মগ্ন ছিলেন।