নিতাই দে, আগরতলা: রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক বিন্যাসকে সুসংহত রাখা সাংবাদিকদের প্রধান দায়িত্ব। কারণ সাংবাদিকরা হল সমাজের দর্পণ। সঠিক সংবাদ পরিবেশন করাই হল সাংবাদিকদের দায়িত্ব। সাংবাদিকতা পেশা হলেও তা সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকেই করা বাঞ্ছনীয়। রাজ্যের বর্তমান সরকার মিডিয়া বান্ধব সরকার। সরকারের কাজের ভাল মন্দ ধরিয়ে দেওয়ায় দায়িত্ব সংবাদ মাধ্যমের। রবিবার আগরতলার সুকান্ত অ্যাকাডেমির অডিটোরিয়ামে আয়োজিত 'জাতীয় প্রেস দিবস' উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ড. মানিক সাহা। 

এবারের জাতীয় প্রেস দিবস উদযাপনের মূল ভাবনা হল 'সেফগার্ডিং প্রেস ক্রেডিবিলিটি এমিডস্ট রাইজিং মিসইনফরমেশন'।  জাতীয় প্রেস দিবসের অনুষ্ঠানে  রাজ্যের অভিজ্ঞ দুই সাংবাদিক প্রাণময় সাহা এবং অনুপম ভট্টাচার্যকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মাননা হিসেবে শাল চাদর, স্মারক এবং অর্থ প্রদান করা হয়।  

জাতীয় প্রেস দিবসের তাৎপর্য আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী ড. মানিক সাহা বলেন, "গণতন্ত্রকে সুসংহত করার ক্ষেত্রে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীন মত প্রকাশ এবং বাক স্বাধীনতা সংবাদমাধ্যমের প্রাণ শক্তি। কিন্তু সমাজের প্রতি দায়দায়িত্ববোধ থেকে যে কোনও ধরনের সংবাদ পরিবেশনে সাংবাদিকদের আরও বেশিভাবে সজাগ থাকতে হবে। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমের যুগে মিথ্যা সংবাদে প্রতিদিন সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন। সেগুলিকে কাটিয়ে ওঠার জন্য সমস্ত ব্যবস্থাকে একযোগে চিন্তাভাবনা চালাতে হবে।" মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "বহিরাজ্যের সাংবাদিকদের থেকে গুণগতমানে এ রাজ্যের সাংবাদিকরাও কোনও অংশে কম নয়।" 

মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বর্ষিয়ান সাংবাদিকদের কাছে বর্তমান প্রজন্মের সাংবাদিকদের নৈতিক সাংবাদিকতা এবং সংবাদ পরিবেশনের বিভিন্ন দিক নিয়ে মাসিক কর্মশালার মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন করার ব্যবস্থা চালু করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "রাজ্যের যে দু'জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছিল তাঁরা যাতে সঠিক ন্যায়বিচার পান তারজন্য যথা স্থানে সময়ে সময়ে তদ্বির করা হচ্ছে।" তিনি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও আত্মমর্যাদা রক্ষায় সরকার দায়িত্বশীল রয়েছে জানিয়েছেন। 

তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে এই জাতীয় প্রেস দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন বিচারপতি অরিন্দম লোধ,  তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পিকে চক্রবর্তী, দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য, আগরতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রণব সরকার, বর্ষিয়ান সাংবাদিক মানষ পাল, ও সানিত দেবরায়-সহ অন্যান্যরা।