আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের প্রাসাদগুলি অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের নিরিখে এই প্রাসাদগুলি ভারতীয় ঐতিহ্য ও ইতিহাসের প্রমাণ। তবে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, এই প্রাসাদগুলির আরও যত্নের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু অর্থনৈতিক কারণে তা হয়ে ওঠেনি। ফলে রাজ পরিবারের কর্তারা ওইসব প্রাসাদগুলিকে হোটেলে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নেন। আমরা যখন প্রাসাদগুলিকে বিলাসবহুল হোটেলে রূপান্তরিত করার বিষয়ে আলোচনা করছি, তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে, কোন কোন প্রাসাদ হোটেলে রূপান্তরিত হবে বা তা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আগরতলা
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, টাটা গ্রুপের হোটেল ব্যবসা সংস্থা, ইন্ডিয়ান হোটেলস কোম্পানি লিমিটেড (IHCL), আগরতলার পুষ্পবন্ত প্রাসাদকে ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি পাঁচ-তারকা হোটেলে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হোটেলটিতে ১০০টি বিলাসবহুল ঘর থাকবে। ইঙ্গিত মিলেছে যে, ত্রিপুরা সরকার এবং ইন্ডিয়ান হোটেলস কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
যোধপুর
রাজস্থানের যোধপুরে উমেদ ভবন প্রাসাদ একটি সুন্দর এবং মনোরম জায়গা। এই প্রাসাদের একটি অংশ তাজ গ্রুপ অফ হোটেল পরিচালনা করে। উমেদ ভবনটি চিত্তর পাহাড়ের চূড়ায় নির্মিত। এই প্রাসাদে ৩৪৭টি ঘর রয়েছে।
হায়দ্রাবাদ
হায়দরাবাদের তাজ ফলকনুমা প্রাসাদটি প্রথম নিজাম ১৮৯৪ সালে তাঁর থাকার জন্য তৈরি করেছিলেন। এখন প্রাসাদটি একটি বিলাসবহুল হোটেলে রূপান্তরিত হয়েছে। ৩২ একরেরও বেশি জমি জুড়ে বিস্তৃত, এই জায়গাটি পর্যটকদের নিজামদের রাজকীয় জীবনের এক ঝলক দেবে।
জয়পুর
জয়পুরের রামবাগ প্রাসাদ একসময় রাজার বাসস্থান ছিল। কিন্তু এখন এটি একটি বিলাসবহুল হোটেলে পরিণত হয়েছে। এটি ১৯৫০-এর দশকে একটি হোটেলে রূপান্তরিত হয়েছিল । বর্তমানে তাজ গ্রুপ এই প্রসাদের দায়িত্বে।
উদয়পুর
উদয়পুরের সিটি প্যালেসটি পিচোলা হ্রদের তীরে নির্মিত। এই প্রাসাদটি মুঘল এবং রাজস্থানী স্থাপত্যের একটি দুর্দান্ত উদাহরণ। এই প্রাসাদটি তাজ গ্রুপ দ্বারা পরিচালিত হয়।
জয়পুর
জয়পুর শহরের উত্তরে আরাভালি পাহাড়ের মাঝখানে সামোদ গ্রামের কাছে একটি সুন্দর প্রাসাদ রয়েছে। এর নাম সামোদ প্রাসাদ। ৪৭৫ বছরের পুরনো এই প্রাসাদটি বেলেপাথর দিয়ে তৈরি। এর কাঠামোতে মুঘল এবং রাজস্থানী উভয় শিল্পই দৃশ্যমান। এখন এই প্রাসাদটিকে একটি বিলাসবহুল হোটেলে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এর ইতিহাস ১৯ শতকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী রাওয়াল বেরিসালের সঙ্গে যুক্ত।
