আজকাল ওয়েবডেস্ক: কর্ণাটকের বেলগাভি জেলায় হাড়হিম ঘটনা। এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ সামনে এসেছে। মঙ্গলবার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। মাত্র ১৩ বছরের নাবালিকাকে জোর করে আখের ক্ষেতে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে দুই যুবক। এই ঘটনায় গোটা রাজ্যে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্তদের নাম হলো মানিকান্তা দিন্নিমানি এবং ইরান্না সংকম্মানাভার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন মেয়েটিকে ধর্ষণ করে আর অন্যজন তাকে সাহায্য করার জন্য পাশে দাঁড়িয়ে পাহারা দেয়।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে মুরগোডা পুলিশ স্টেশন এলাকায়। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে কিশোরী। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন আটা কল থেকে সে নিজের বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে আখের ক্ষেতে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ঘটনার পরেই নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয় যাতে এই কথা কাউকে না জানায়। পুলিশ জানিয়েছে, সেই কারণেই প্রথমে ঘটনাটি তাদের পক্ষে জানানো সম্ভব হয়নি।

কিশোরী বাড়ি ফেরার সময় অভিযুক্ত মানিকান্তা দিন্নিমানি এবং ইরান্না সংকম্মানাভার এই জঘন্য কাজ করে। তার বাড়ি থেকে মাত্র ৩০০ মিটার দূরেই এটি ঘটে। জানা গিয়েছে, গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর পর মুরগোড পুলিশ মামলা দায়ের করে। এরপর দু’জন অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করে।

এই ঘটনা নিয়ে বেলগাভির পুলিশ সুপার (এসপি) ভীমাশঙ্কর গুলেদ বলেন, "কিশোরী তার অভিযোগে জানিয়েছে যে, একজন অপরাধ করেছে এবং অন্যজন তাকে সাহায্য করতে পাহারায় ছিল।"

অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ অভিযুক্তদের ধরে ফেলেছে। এসপি গুলেদ আরও জানান, "তদন্তের জন্য একজন মহিলা পুলিশ অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত মানিকান্তা ও ইরান্নাকে খুব তাড়াতাড়ি আদালতে তোলা হবে।"

অভিযোগ জানাতে দেরি হলো কেন, এই বিষয়ে এসপি বলেন, "দেরি হওয়ার কারণ আমরা খুঁজে বের করব। আমাদের অভিজ্ঞতা বলে, ভুক্তভোগীরা প্রথমে হতভম্ব থাকে। তারা সহজে মুখ খুলতে পারে না; আর মুখ খুললেও ভয় পায় এবং লোকলজ্জার ভয় করে।" তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে অভিযোগ জানাতে দেরি হওয়াটা আসল বিষয় নয়। তাঁর কথায়, "অপরাধটি হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে এর প্রমাণ মিলেছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "প্রয়োজনে নির্যাতিতাকে সুরক্ষা দেওয়া হবে। পুলিশ এই মামলায় কোনও রকম আপস করার চেষ্টা করেনি। বিশেষ করে পকসো আইনে পুলিশ খুবই সতর্ক থাকে। এটা আপস করার মতো মামলা নয়, এবং পুলিশকর্মীরাও এমন কিছু করবেন না," এক প্রশ্নের উত্তরে জানান এসপি।