আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঝাঁসির জারবো গ্রামে ১০ এপ্রিল দলিত ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষ মিলিতভাবে ৫০,০০০ টাকা চাঁদা তুলে আম্বেদকরের একটি ছয় ফুট লম্বা মূর্তি স্থানীয় একটি পার্কে স্থাপন করেন। ১৪ এপ্রিল আম্বেদকর জয়ন্তীতে মূর্তিটি উন্মোচনের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু ১২ এপ্রিল রাতে পুলিশ ও রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকরা এসে মূর্তিটি সরিয়ে নিয়ে যায়। পুলিশ দাবি করে, সরকারি জমিতে অনুমতি ছাড়া মূর্তি বসানো হয়েছে, যা বেআইনি।
গ্রামপ্রধান সরোজ আহিরওয়ার জানান, মূর্তি স্থাপনে সকল জাতির মানুষ সহযোগিতা করেছেন এবং কোনো বিরোধ ছিল না। তিনি স্বীকার করেন যে প্রশাসনিক অনুমতি নেওয়া হয়নি, তবে প্রশাসনের এমন কড়া পদক্ষেপ অপ্রয়োজনীয় এবং অবমাননাকর।
এই ঘটনার পর সীতাপুর, লখনউ ও আলিগড়েও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে দলিত সম্প্রদায় নিজের উদ্যোগে আম্বেদকরের মূর্তি স্থাপন করে এবং প্রশাসন সেই মূর্তি সরিয়ে দেয়। কোথাও কোথাও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পাথর ছোঁড়া, লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার হয়।
প্রশাসনের দাবি, ২০০৮ সালের সরকারী নির্দেশ ও ২০১৩ সালের সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী, কোনো মূর্তি সরকারি বা পাবলিক জমিতে স্থাপনের আগে অনুমতি নিতে হয়। তবে দলিত সম্প্রদায়ের মতে, বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও অনুমতি দেওয়া হয় না, যা পক্ষপাতদুষ্ট মনোভাবের পরিচায়ক।
বিজনোর সাংসদ চন্দ্রশেখর আজাদ এই ঘটনাগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক যোগেশ শুক্লা উভয় পক্ষকে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানান।
বর্তমানে অনেক জায়গায় মূর্তিগুলি কাপড়ে ঢাকা অবস্থায় আছে, গ্রামবাসীরা আশঙ্কা করছেন যে যেকোনো সময় প্রশাসন আবার মূর্তি সরিয়ে দিতে পারে।
