আজকাল ওয়েবডেস্ক: সন্ধ্যাবেলায় চপ খাওয়ার সাধ হয়েছিল। স্থানীয় একটি জনপ্রিয় দোকান থেকে ডিমের চপ কিনে বাড়ি ফিরেছিলেন তরুণী। চপ খাওয়ার জন্য মুখিয়ে ছিল তাঁর সন্তানরাও। সেই চপের কামড় দিতেই শিউরে ওঠার মতো ঘটনা ঘটল। চপ দুই টুকরো হতেই তরুণীর চোখে পড়ল, তার মধ্যের সাপ। চপ খাওয়া তো দূর অস্ত, এই ঘটনায় রীতিমতো আঁতকে উঠেছেন তাঁরা।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার মেহবুব নগর জেলায়। স্থানীয় একটি বেকারি থেকে ডিমের চপ কিনেছিলেন এক তরুণী। সেই ডিমের চপে কামড় দেওয়ার পরেই শিউরে ওঠেন তিনি। সেই চপের মধ্যে ছিল আস্ত সাপ। ঘটনাটির পর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, তরুণীর নাম শ্রীসৈলা। জদচরলা এলাকার একটি স্থানীয় বেকারি থেকে ডিমের চপ কিনেছিলেন তিনি। বাড়ির ফেরার পর খাবারের প্যাকেট খুলে সকলের মধ্যে ভাগাভাগি করছিলেন। সেখানে ছিল তাঁর খুদে সন্তানরাও। ডিমের চপে কামড় দিতেই দেখেন তরকারির মধ্যে ছোট্ট একটি সাপ।
তড়িঘড়ি করে সেই খাবার নিয়ে দোকানটিতে পৌঁছন তরুণী। অভিযোগ জানান বিষয়টি ঘিরে। কিন্তু দোকানের মালিক অভিযোগটি অস্বীকার করেন। এমনভাবে প্রতিক্রিয়া দেখান, যাতে চপের মধ্যে সাপের বিষয়টি কোনও আহামরি বিষয় নয়। এরপরই থানায় পরিবারকে নিয়ে পৌঁছন ওই তরুণী। খাবার সুদ্ধ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
যদিও খাবারের মধ্যে পোকামাকড়, সাপ, টিকটিকির উপস্থিত, নতুন নয়। এমন খাবার খেয়ে বিষক্রিয়ায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে গেছেন। কারো কারও মৃত্যুও হয়েছে। কিন্তু তারপরেও হেলদোল নেই খাবারের দোকানের কর্মীদের।
প্রসঙ্গত, উত্তর প্রদেশের কানপুরের জিটি রোড এলাকায় ঘটেছে৷ সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার একটি স্থানীয় ধাবা থেকে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে তন্দুরি রুটির মধ্যে সম্পূর্ণ একটি বাচ্চা গেছো টিকটিকি (ছিপকালী) রান্না হয়ে মিশে গিয়েছে। এহেন ঘটনার ভিডিও দেখে নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে৷
ভিডিওতে দেখা যায়, এক গ্রাহক রুটি মোড়ানো অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল খুলে দেখাচ্ছেন। তিনি দেখাচ্ছেন যে রুটির মধ্যে একটি মরা টিকটিকির মাথা বেরিয়ে আছে। তিনি রুটি ধরে ক্যামেরার সামনে দেখিয়ে বলেন, 'ছিপকলী কা পুরা বাচ্চা হ্যায়। ছোটি-মোটি চিজ নহি হ্যায় জো দিখাই না পড়ি হো, বহুত বড়ি চিজ হ্যায় ইয়ে।' তিনি আরও বলেন, এই দূষিত রুটি খেয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা বমি করেছেন।
ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পরপরই, এটি নেটপাড়ায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। ঘটনার জেরে অনেকে ধাবাটির বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করেন। পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'এটা খুবই নিন্দনীয় এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ।' আরেকজন মন্তব্য করে বলেন, 'এই ধরনের রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ।' কেউ কেউ বলেন, 'ধাবাটির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই এফআইআর করা উচিৎ।' একজন বিদ্রুপ করে লেখেন, 'এই ধাবাকে এখুনি বয়কট করুন।'
