আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্বাস্থ্যবিমা আজকের দিনে বহু মানুষের রয়েছে। জরুরি সময় দেখা যায় স্বাস্থ্যবিমা কাজে লাগাতে গিয়ে কালঘাম ছোটে পলিসি হোল্ডারদের। সম্প্রতি একটি সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৫জন পলিসি হোল্ডার স্বাস্থ্যবীমার সুবিধা পান না। তাদের কঠিন সময়ে তারা নিজের স্বাস্থ্যবিমাকে কাজে লাগাতে পারেন না।
এই সমীক্ষা করা হয়েছে ২০২৪ সালের জুন মাস থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে। ভারতের ৩২৭ টি জেলার প্রায় ১ লক্ষের বেশি স্বাস্থ্যবীমা হোল্ডারদের মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়। সেখানেই দেখা গিয়েছে দরকারের সময় তাদের এই টাকা পেতে দেরি হয়েছে। এমনকি অনেক সময় দেখা গিয়েছে আবেদন করার ৪৮ ঘন্টা পরেও তারা তাদের স্বাস্থ্যবিমার টাকা পাননি। ফলে হাসপাতাল থেকে তাদের বের হতে দেরি হয়ে গিয়েছে।
অনেকে আবার জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যবিমার জন্য তারা আবেদন করলেও তারা সেই টাকার পুরোটা পাননি। সেই টাকার কিছুটা অংশ পেয়েছেন। বাকি টাকা তাদের নিজেদেরকে যোগাড় করতে হয়েছে। দ্যা ইনসুরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভালপড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে ১১ শতাংশ স্বাস্থ্যবিমা নাকচ হয়ে গিয়েছে।
কঠিন সময়ে স্বাস্থ্যবিমার আবেদন নাকচ হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হল সঠিক তথ্য জমা না দেওয়া। পলিসি হোল্ডার যদি সঠিকভাবে নিজের সমস্ত তথ্য জমা না দেন তাহলে তার আবেদন অতি সহজেই নাকচ হয়ে যায়।
স্বাস্থ্যবিমা করার সময় দেখা যায় পলিসি হোল্ডাররা সঠিকভাবে সমস্ত কাগজপত্র পড়ে দেখেন না। সেখানে অনেক নিয়ম থাকে যেগুলি তখনই পড়ে নেওয়া দরকার হয়ে পড়ে। নাহলে পরে গিয়ে যখন সেই টাকা দাবি করা হবে তখন সেগুলি অতি সহজেই নাকচ হয়ে যায়।
অনেক সময় দেখা যায় পলিসি হোল্ডাররা স্বাস্থ্যবিমার টাকা সঠিকভাবে দেন না। বেশ কিছুদিনের ফাঁক থাকলে সেগুলি পরে মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করেন না। ফলে সেখান থেকে স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়ে থাকে।
স্বাস্থ্যবিমায় টাকা পেতে হলে সঠিক সময় দেখে তবেই আবেদন করতে হয়। যদি রোগীর চিকিৎসাচলাকালীন সেই আবেদন না করা হয় তাহলে সেই টাকা পেতে দেরি হয়ে যায়। যেখানে রোগী ভর্তি থাকে সেখানকার সমস্ত তথ্য সঠিক সময়ে যদি জমা দেওয়া যায় তাহলে অতি দ্রুত স্বাস্থ্যবিমার সুবিধা পাওয়া যায়।
