আজকাল ওয়েবডেস্ক: অসমের ডিমা হাসাও জেলায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, সেখানকার একটি জলপ্রপাতে পড়ে তিন জন প্রথম বর্ষের আইটি ছাত্রছাত্রী নিখোঁজ হন। পুলিশ জানিয়েছে, এই তিন জনই ছিলেন শিলচরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এনআইটি)-র ছাত্রছাত্রী।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে শনিবার দুপুরে। খবর পেয়েই পুলিশ ও এনডিআরএফ (জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী) দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করে। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা সর্বকৃতিকা (২০) নামে এক ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

তবে এখনও দু'জন নিখোঁজ আছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিখোঁজদের মধ্যে রয়েছেন বিহারের ১৯ বছরের রাধিকা এবং উত্তর প্রদেশের ২০ বছরের সৌহার্দ রাই। পুলিশের বক্তব্য, মোট সাত জন ছাত্রছাত্রী সেদিন পিকনিক করতে এনআইটি শিলচর থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে বৌলসোল জলপ্রপাতে গিয়েছিলেন। দুপুর ২টো নাগাদ এক জন জলে পড়ে যান। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আরও দু'জন বন্ধুও পিছলে জলপ্রপাতের স্রোতে তলিয়ে যান।

এনআইটি কর্তৃপক্ষও নিশ্চিত করেছে যে উদ্ধার হওয়া ছাত্রী ও নিখোঁজ দু'জনই তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রী ছিলেন।

অন্যদিকে, নেপালে মৃতদেহ উদ্ধার। সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। খবর মারফত জানা গিয়েছে,  একজন ভারতীয় পুরুষের মৃতদেহ রবিবার নেপালের দক্ষিণ তেরাই সমভূমির একটি সেচ খাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে তিনি বাগমতী নদীতে ডুবে গিয়েছিলেন। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম রোহিত কুমার সিংহ। তাঁর বয়স ৩০ বছর। খবর মারফত তিনি ভারতের বিহার রাজ্যের খগড়িয়া জেলার বাসিন্দা ছিলেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মারফত জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেল আনুমানিক ২টা ৪০ মিনিটে চন্দ্রপুর পৌরসভার অন্তর্গত বাগমতী নদীতে স্নান করতে গিয়ে তিনি প্রথমে নিখোঁজ হন।

খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। পুলিশ সূত্রে খবর মিলেছে, নদীতে নামার আগে রোহিত কুমার সিংহ অসম্ভব মদ্যপান করেছিলেন। নিখোঁজ হওয়ার পরে, সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া ইউনিট ও স্থানীয় পুলিশের একটি যৌথ উদ্ধারকারী দল তল্লাশি অভিযান শুরু করে। এরপর রবিবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে গুজারা পৌরসভা এলাকার সেচ খালে তাঁর মৃতদেহ খুঁজে পায় তারা। রাউতাহাট জেলার ডিএসপি দীপক কুমার রাই এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায়৷ ময়নাতদন্তের পর তাঁর মৃতদেহ পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়। তবে পুরো ঘটনা পুলিশ বর্তমানে খতিয়ে দেখছে৷ এই ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন নেপালে ভারতীয় পর্যটকদের মৃত্যুর একাধিক অনুরূপ দুর্ঘটনার খবর আগেও সামনে এসেছে।