আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভরা কলেজে আচমকা শোরগোল। ক্লাসরুমের জানলা দিয়ে হঠাৎ নীচে ঝাঁপিয়ে পড়েন এক কলেজ ছাত্রী। ক্লাস থামিয়ে ছুটে যান অধ্যাপক থেকে পড়ুয়ারা। নার্সিং কলেজে ছাত্রীর আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশে। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চিত্তোর জেলায় কলেজের হস্টেলের পাঁচতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন এক কলেজ ছাত্রী। ১৯ বছর বয়সি মৃত ছাত্রীর নাম, পল্লবী। কুপ্পাম এলাকায় পিইএস কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের নার্সিং পড়ুয়া ছিলেন তিনি। 

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই মানসিক চাপে বিধ্বস্ত ছিলেন পল্লবী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হস্টেলের পাঁচতলা থেকে ঝাঁপ দেন। শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। হস্টেলের সিসিটিভি ফুটেজেও ঘটনাটি ধরা পড়েছে। নীচে পড়তেই ছাত্রীকে উদ্ধার করতে ছুটে আসেন অন্যান্য পড়ুয়া ও কর্মীরা। তড়িঘড়ি করে সেদিন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। 

কলেজ ছাত্রীর মৃত্যুর পর পুলিশকে কলেজেরই কর্মীদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ জানিয়েছে পরিবার। এমনকী পড়ুয়ারাও কলেজ ও হস্টেলের কর্মীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। এই ঘটনায় আত্মহত্যার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ছাত্রীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই এমন আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। স্কুলের বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। কয়েক ফুট নীচে পড়লেও, মাটিতে ছিল না কোনও রক্তের দাগ। কারণ পুলিশ আসার আগেই তা ধুয়ে মুছে সাফ করে ফেলেন কর্মীরা। কারণ কী? রহস্যমৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশায় পুলিশ। জোরকদমে চলছে তদন্ত। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের জয়পুরে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে এক বেসরকারি স্কুলের ভিতরে পাঁচ তলা থেকে ঝাঁপ দেয় ন'বছর বয়সি এক ছাত্রী। সে ওই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। নীচে পড়তেই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছে তার। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, স্কুলের পাঁচ তলায় বারান্দায় রেলিংয়ের বাইরে দাঁড়িয়েছিল ওই ছাত্রী। আশেপাশেই বহু পড়ুয়া ছিল। তবে তখনো কেউ লক্ষ করেনি। রেলিংয়ের বাইরে দাঁড়ানোর কয়েক সেকেন্ড পরেই ঝাঁপ দেয় নাবালিকা। ৪৭ ফুট নীচে পড়তেই মৃত্যু হয়েছে তার। 

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ছাত্রী কোনও কারণে আত্মঘাতী হয়েছে। তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ জানা যাবে। পুলিশ আধিকারিক লক্ষণ খাটানা জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছে নীর্জা মোদি স্কুলে‌। স্কুলের পাঁচ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে সে। তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

তবে ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই পুলিশের সন্দেহ গাঢ় হয়। যেখানে ছাত্রী পড়েছিল, সেখানে কোনও রক্তের দাগ ছিল না। পুলিশ আসার আগেই জায়গাটি পরিষ্কার করে ফেলা হয়েছিল‌। ছাত্রীর পরিবার ইতিমধ্যেই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের করেছে। তাঁদের অনুমান, এটি রহস্যমৃত্যু। স্কুলের শিক্ষক ও কর্মীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়েছে মৃত ছাত্রীর পরিবার। এই ঘটনাটি ঘিরে কোনও মন্তব্য করেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ।