আজকাল ওয়েবডেস্ক: গাজিয়াবাদের বসুন্ধরায় চরম আতঙ্ক। আজ, অর্থাৎ রবিবার সকালে একটি আবাসিক ভবনের সিঁড়ি আচমকা ধসে পড়েছে। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। ঘটনাটি ঘটে বসুন্ধরা সেক্টর-১৭-এর গ্রিন ভিউ অ্যাপার্টমেন্টে। খবর পাওয়া গিয়েছে সিঁড়ি ধসে কমপক্ষে আটটি পরিবার তাঁদের নিজ নিজ ফ্ল্যাটের ভিতরে আটকে পড়েছেন। কারণ সুত্র অনুযায়ী এটি ছিল আবাসিকের একমাত্র বহির্গমন পথ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, দুর্ঘটনার তীব্রতা ভয়াবহ৷ ভবনের নিচতলা থেকে উপরের তলায় যাওয়ার রাস্তাটি প্রায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসস্তূপে বন্ধ হয়ে গেছে। আটকে পড়া পরিবারগুলোর মধ্যে বৃদ্ধ মানুষ, মহিলা ও শিশুরাও রয়েছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও আহত বা নিহতের খবর পাওয়া যায়নি৷ বর্তমানে প্রশাসনের কর্মকর্তারা উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে। এর পাশাপাশি তারা ক্রমাগত চেষ্টা করছে যেন ভুক্তভোগীদের রেহাই মেলে। যাতে দ্রুত ও নিরাপদভাবে আটকে পড়া মানুষদের বের করে আনা যায়। ঘটনার জেরে তদন্ত জারি রয়েছে৷
প্রসঙ্গত অপরদকে, আরেকটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে। এটি ঘটে বাহাদুরপুর গ্রামে। খবর মারফত, সেখানকার একটি কাঁচা ঘর বৃষ্টির সময় ধসে পড়লে ৫৫ বছর বয়সী প্রেমা দেবী ও তাঁর ১৯ বছর বয়সী তরুনী সাধনা ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
ঘটনার জেরে পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার সময় প্রেমা দেবী, সাধনা এবং প্রেমা দেবীর আরেক মেয়ে, ১৭ বছর বয়সী আরাধনা ঘরের ভিতরেই ছিলেন। আচমকা বৃষ্টির জেরে ঘর ধসে পড়ে তিনজনই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়৷ ধ্বংসস্তূপ থেকে তাঁদের উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সেখানে চিকিৎসকরা জানান, প্রেমা দেবী ও সাধনা হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা গিয়েছে। আরাধনা বর্তমানে চিকিৎসাধীন এবং তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি দিল্লির একাধিক জায়গায় পরপর ধসে পড়েছে একাধিক দেওয়াল। ঘটনায় চাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন একাধিক শ্রমিক। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের মে মাসের কোনও এক শনিবার সন্ধ্যায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে সেন্ট্রাল দিল্লির পাহাড়গঞ্জ এলাকায়। দমকল ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ বিল্ডিংয়ের একতলায় কাজ করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। আচমকাই তুমুল বৃষ্টির মধ্যে ওই বিল্ডিংয়ের একাংশ ধসে পড়ে। দেওয়াল ধসে পড়ার পর তাতেই চাপা পড়েন চারজন শ্রমিক। ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছয় দমকলের চারটি ইঞ্জিন, উদ্ধারকারী দল।
ধ্বংসস্তূপ থেকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চারজনকেই উদ্ধার করা হয়। তাঁদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলে। আরেকজন শ্রমিক গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অন্যদিকে আউটার নর্থ দিল্লিতে শেহবাদ ডেয়ারি এলাকায় দেওয়াল ঢালাইয়ের সময়, সেটি হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে। তাতেই চাপা পড়েন দু'জন শ্রমিক। দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আরেকজন দীর্ঘ সময় চিকিৎসাধীন ছিলেন। খবর অনুযায়ী তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। দু'টি পৃথক ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা। এই ভয়াবহ ঘটনার তদন্ত করে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেন তিনি।
