আজকাল ওয়েবডেস্ক: এবার কর্নাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে বেঙ্গালুরুতে তাঁর বাসভবনে প্রাতরাশ বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। মঙ্গলবার এই বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত শুক্রবারই সিদ্দারামাইয়ার ডাকে প্রাতরাশ সেরেছিলেন ডিকে। কুর্সির দ্বন্দ্ব নিয়ে চরম টানাপোড়েনের মধ্যে সেই বৈঠক নিয়ে চর্চা চরমে ওঠে। তবে, উভয়ই হাসিমুখে 'হাম সাথ সাথ হ্যায়'-এর বার্তা তুলে ধরেন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, সেই বৈঠকেই দ্বন্দ্ব মেটাতে রফাসূত্র নিয়ে তাঁদের আলোচনা হয়েছিল।

তাহলে ফের কেন কর্নাটক কংগ্রেসের হেভিওয়েট এই দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হবে? এই প্রস্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে।

সিদ্দারামাইয়ার বাসভবনে অনুষ্ঠিত প্রথম প্রাতরাশ বৈঠকের শেষে, মুখ্যমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছিলেন যে- তাঁর এবং শিবকুমারের মধ্যে "এখন কোনও মতপার্থক্য নেই এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না।"

সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, "আমাদের এজেন্ডা হল ২০২৮ সালের নির্বাচন। গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে স্থানীয় নির্বাচনেও। আমরা সেগুলি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা ২০২৮ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসকে ফিরিয়ে আনার বিষয়েও আলোচনা করেছি। আমরা আলোচনা করেছি যে, আমরা একসঙ্গে হাত চিহ্নের পতাকা নিয়ে ভোট ময়দানে নামব।  আমাদের মধ্যে কোনও মতপার্থক্য নেই এবং ভবিষ্যতেও কোনও মতপার্থক্য থাকবে না।"  

তবে মুখ্যমন্ত্রী কে থাকবেন সেই বিষয়টি কংগ্রেস হাইকমান্ডের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে বলে স্পষ্ট করেছিলেন বর্ষীয়ান মুখ্যমন্ত্রী।

নভেম্বরে সিদ্দারামাইয়া তার পাঁচ বছরের মেয়াদের অর্ধেক সময় অতিক্রম করেন। ডিকে গোষ্ঠীর দাবি, সরকার গঠনের সময় মৌখিকভাবে স্থির হয়েছিল যে আড়াই বছর পরে মুখ্যমন্ত্রিত্বের কুর্সি শিবকুমারকে ছেড়ে দেবেন সিদ্দা। তদবির করতে উপ-মুখ্যমন্ত্রীর শিবিরের বেশ কয়েকজন বিধায়ক দিল্লিতেও পৌঁছান। চাপ বাড়ান হাইকমান্ডের। তবে, সিদ্দারামাইয়া কোনও আপোষে রাজি নন। উল্টে জোর দিয়ে সিদ্দারামাইয়া বলেন যে, তিনি পুরো পাঁচ বছরই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন।

এদিকে, উত্তেজনা নিরসনের জন্য দিল্লি ও বেঙ্গালুরুর মধ্যে ঘোরাফেরা করা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ২৯ নভেম্বর জাতীয় রাজধানীতে দলীয় সাংসদ রাহুল গান্ধীর সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। তারপরই রফাসূত্র বেরহয়। বৈঠক করেন যুযুধান সিদ্দা ও ডিকে। জানা গিয়েছে সেই বৈঠকে স্থির হয়েছে, আগামী নির্বাচনে কর্নাটকে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী মুখ হবেন শিবকুমার। আপাতত, তিনি উপমুখ্যমন্ত্রী ও দলের প্রদেশ সভাপতির দায়িত্বেই থাকছেন। তবে, চলতি সরকারেই তাঁর গোষ্ঠীর একাধিক বিধায়ককে মন্ত্রী করা হবে।