আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশের মানুষের কাছে বড় স্বস্তি। কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক খুচরো মুদ্রাস্ফীতির তথ্য সামনে আসার পর সকলের মনে ফিরল শান্তি। সেখানে দেখা গেল মুদ্রাস্ফীতি নেমেছে ৩.১৬ শতাংশ। মার্চের শুরুতে কমেছিল খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার। খাদ্যদ্রব্যের দাম কমার ফলেই এই পরিস্থিতি তৈরি হল।
এপ্রিল মাসে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার কমে ৩.১৬ শতাংশে এল। এটি প্রায় ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। বড় কারণ হল শাকসবজি, ফলমূল, ডাল এবং অন্যান্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্যদ্রব্যের দাম কমে যাওয়া। এই সংখ্যাটি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্ধারিত সীমার মধ্যে। এই কারণে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকে।
মার্চ মাসে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৩.৩৪ শতাংশ, যেখানে ২০২৪ সালের এপ্রিলে তা ছিল ৪.৮৩ শতাংশ। এর আগে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে এই হার ৩.১৫ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ২০২৫ সালের এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল মাত্র ১.৭৮ শতাংশ, যেখানে মার্চ মাসে তা ছিল ২.৬৯ শতাংশ এবং যদি এক বছর আগের হিসেব দেখি তাহলে ২০২৪ সালের এপ্রিলে তা ছিল ৮.৭ শতাংশ।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে স্বাস্থ্য খাতে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৪.২৫ শতাংশ, মার্চ মাসে তা ছিল ৪.২৬ শতাংশ। এর মানে হল এটি প্রায় একই রয়ে গিয়েছে। এছাড়াও, পরিবহণ ও টেলিযোগাযোগ খাতে মূল্যস্ফীতির হার ৩.৭৩ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে। মার্চ মাসের তুলনায় এতে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৫ সালের মার্চ মাসে এই সংখ্যা ছিল ৩.৩৬ শতাংশ। এছাড়াও, জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মার্চ মাসে তা ১.৪২ শতাংশ থেকে বেড়ে এপ্রিল মাসে ২.৯২ শতাংশে পৌঁছেছে।
এই পরিস্থিতি তাদের কাছে সুখের খবর যারা তাদের আয়ের বেশিরভাগ টাকা খাবারের জন্য ব্যয় করেন। ফলে বাজারে গিয়ে তারা অতি সহজেই খাদ্যদ্রব্য কিনতে পারবেন। ফলে খাবারের দাম কমবে, বাড়ছে ক্রয়ক্ষমতা। ফলে সাধারণ মানুষ নিশ্চিত মনে বাজার করতে পারবেন। ফলে দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি নিয়ে যে চিন্তা সাধারণ মানুষের মনে ছিল সেখান থেকে মিলল স্বস্তি। নিশ্চিন্ত হল কেন্দ্রীয় সরকারও।
