আজকাল ওয়েবডেস্ক: যেকোনও ডিজিটাল পেমেন্টকে সঠিকভাবে করতে হলে কিউ আর কোড একটি বিরাট হাতিয়ার। তবে এই কিউ আর কোড কতটা সুরক্ষিত তা নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠছে।
রাস্তার ধারে কোনও দোকান থেকে শুরু করে বড় শপিং মল। সর্বত্রই এখন কিউ আর কোডের যুগ। এটি যেন আমাদের জীবনের একটি অংশ হয়েছে। বিশেষত যারা ইউপিআই ব্যবহার করেন তাদের কাছে এটি তো একেবারে সাধারণ বিষয়। নগদ লেনদেন যারা করতে চান না তাদের কাছে কিউ আর কোডের বিকল্প নেই। তবে এই বিরাট লেনদেনের পিছনে রয়েছে একটি বিরাট ক্ষতির আশঙ্কা।
সাইবার অপরাধীরা অতি চালাকির সঙ্গে আপনার কিউ আর কোডকে ব্যবহার করতে পারে। এই চার ঘরের ছক থেকে তারা অতি সহজেই আপনার অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়ে যেতে পারে। এরপর যা হওয়ার তাই হবে। নিমেষে আপনার অ্যাকাউন্ট খালি করে দিতে তাদের বিশেষ সময় লাগবে না।
বিগত কয়েক বছর ধরে কিউ আর কোডের জনপ্রিয়তা বেড়েছে কয়েকশো গুন। শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কিউ আর কোড চলছে। আপনার ইউপিআই পেমেন্ট থেকে শুরু করে ট্রেন বা বিমানের চিকিট কাটা, ওয়াইফাইতে লগ ইন থেকে শুরু করে বন্ধুদের টাকা দেওয়া সবেতেই কিউ আর কোডের বিকল্প নেই।

ভারতের কেন্দ্রীয় সাইবার নিরাপত্তা সিইআরটি জানিয়েছে সাইবার অপরাধীরা এবার কিউ আর কোডকে নিশানা করেছে। সেখানে তাদের পাতা জালে যেকোনও সময় আপনি ফেঁসে যেতে পারেন। আপনার সামনে যে কিউ আর কোড রয়েছে সেটি নকল হতে পারে। আপনি কিছু না ভেবে যদি সেটিকে স্ক্যান করেন তাহলেই দেখবেন হঠাৎ করে আপনার অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হয়ে গিয়েছে।
তবে সেখানে কীভাবে নিজেকে বাঁচাবেন এবার সেটি জেনে নিন।
কিউ আর কোডটি কোথায় লাগানো রয়েছে সেটি ভাল করে দেখে নিন।
চেনাজানা জায়গা ছাড়া কোথাও কিউ আর কোড স্ক্যান করবেন না।
কোনও অজানা নম্বর থেকে আসা কিউ আর কোড স্ক্যান করবেন না।
তবে এতসবের পরও আপনার কিউ আর কোড হাতিয়ে নিতে পারে হ্যাকাররা।
নকল QR কোডগুলি আপনার টাকা কেড়ে নিতে পারে, আপনার ডিভাইস হ্যাক করতে পারে, বা আপনার পরিচয় চুরি করতে পারে, আপনার স্ক্যান অভিজ্ঞতাকে পরিণত করতে পারে দুঃস্বপ্ন। প্রযুক্তিগতভাবে বলতে গেলে, QR কোড নিরাপদ। কিন্তু কখনও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি আসে।
আরও পড়ুন: নতুন ফিচার যোগ হবে হোয়াটসঅ্যাপে, কী সুবিধা থাকবে সেখানে
QR কোডগুলি, ভুল হাতে রাখলে, স্ক্যানারগুলিকে ক্ষতিকারক সাইটে, ম্যালওয়্যার ডাউনলোড এবং ফিশিং ইমেলগুলিতে নিয়ে যেতে পারে৷ এই প্রতারণামূলক কোডগুলির একটি উদ্দেশ্য রয়েছে। স্ক্যানারদের তাদের ব্যক্তিগত বিবরণ দেওয়ার জন্য এবং তাদের ডিভাইসে অ্যাক্সেসের অনুমতি দেওয়ার জন্য প্রতারিত করা। জালিয়াতি কিউ আর কোড সাইবার অপরাধীদের সঙ্গে ট্যাম্পারড করা হয়েছে বা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। এটি তাদের নিয়মিত লোকেদের কাছে সন্দেহজনক করে তোলে, তাদের বৈধ QR কোডের মতো মনে করে।
এটিকে আরও কৌশলী করতে, এই জাল কোডগুলি সরল দৃষ্টিতে লুকিয়ে রাখা হয় বা যেখানে সেগুলি সাধারণত পাওয়া যায় সেখানে লুকিয়ে রাখা হয়৷ উদাহরণস্বরূপ, তারা একটি হিসাবে ছদ্মবেশ করা যেতে পারে যেখানে সন্দেহাতীত স্ক্যানাররা অর্থ প্রদানের জন্য ব্যবহার করে, অফিসিয়াল পরিবর্তে স্ক্যামারদের কাছে তাদের অর্থ প্রেরণ করে। এই কারণেই একটি QR কোড স্ক্যান করা এবং ব্যবহার করা নিরাপদ কিনা তা কীভাবে পরীক্ষা করবেন তা শেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
