আজকাল ওয়েবডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’ শেষে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক এবার কোনদিকে এগোবে তার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, রক্ত আর জল কখনও একসঙ্গে বইতে পারে না। তাঁর কথায়, ‘সন্ত্রাস-বাণিজ্য, সন্ত্রাস-আলোচনা যেমন কখনও একসঙ্গে হয় না তেমনই রক্ত আর জল কখনও একসঙ্গে বইতে পারে না’।
পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর পাকিস্তানের সঙ্গে্ সিন্ধু চুক্তি স্থগিত রাখে ভারত। তারপরেই পাকিস্তানের তরফে জানানো হয়, জল যদি ভারতের তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে সেটাকে যুদ্ধ হিসেবে দেখা হবে। কিন্তু ভারত পিছপা হয়নি। গত ৬ মে এবং ৭ মে অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে শত্রু দেশের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় সেনা।
এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ পুরোটাই স্টেট স্পনসরড। সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে দেশ যে কোনও সিদ্ধান্ত নেবে। যুদ্ধে আমরা বারবার পাকিস্তানকে পর্যদুস্ত করেছি। অপারেশন সিঁদুর তাতে নতুন পালক’।
সম্প্রতি, অপারেশন সিঁদুরে মুরিদকে এবং ভাওয়ালপুরে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনা। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের মূল ঠিকানা এই জায়গাগুলো। বলা ভাল, গ্লোবাল টেররিজমের ইউনিভার্সিটি। বিশ্বের যে কোনও জায়গায় যা কিছু বড় হামলা হয়েছে, সবকিছুর সঙ্গে কোনও না কোনও ভাবে এই জায়গার যোগাযোগ রয়েছে। অপারেশন সিঁদুর গোড়া থেকে উপড়ে ফেলেছে সেই আতঙ্ককে’।
পাকিস্তান সরকারকেও আক্রমণ করতেও ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সে দেশের সরকার, সেনা জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে। ওরাই একদিন পাকিস্তানকে শেষ করবে। বাঁচতে হলে সেগুলোকে শেষ করতে হবে।
শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী এদিন সাফ জানিয়ে দেন ভারত কোনও পরমাণু হামলার হুমকি সহ্য করবে না। তিনি বলেন, ‘কোনও নিউক্লিয়ার থ্রেট ভারত সহ্য করবে না। ভারত শান্তিপূর্ণ দেশ। কিন্তু শক্তিশালী হওয়া জরুরি। প্রয়োজন হলে, শক্তির ব্যবহার জরুরি। ভারত গত কয়েকদিনে তাই করেছে’।
