আজকাল ওয়েবডেস্ক: রেলের টিকিট কাউন্টারে খুচরো ফেরৎ কেন্দ্র করে তুমুল বচসা সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর কাড়ল। কমার্শিয়াল কাম টিকিট ক্লার্ক (সিসিটিসি) এবং এক যাত্রীর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের একটি ভিডিও মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেকা যাচ্ছে, ভর্তি খুচরো থাকলেও টিকিট বিক্রেতা যাত্রীকে তা দিতে চাইছেন না।
যাত্রীর রেকর্ড করা ভিডিওটি শুরু হয় অফিসারের নামের ফলকের দিকে ফোকাস করে, তারপর ২০ টাকার নোটের বান্ডিলে ভরা একটি বাক্সে ক্যামেরা ফোকাস করা হয়। যাত্রী বর্ণনা করেন, ‘আমি ওনাকে ৫০ টাকা দিয়ে বলি কান্দিভালি রিটার্ন দিতে, ভাই বলছেন খুচরো নেই। তবে দেখতে পাচ্ছি যে, ২০ টাকার বান্ডিল-সহ অনেক খুচরো টাকা রয়েছে। কেন তাহলে খুচরো দেওয়া হবে না, আমিও দেখে ছাড়বো।’
বাংবার ওই যাত্রী তাঁর ফেরতের দাবি করলে ওই টিকিট বিক্রেতা তাঁকে 'পাশে সরে দাঁড়ান' বলে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সকে (আরপিএফ) ফোন করার হুঁশিয়ারি দেন যাত্রী। টাকা ফেরৎ পেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ওই যাত্রী কিছুতেই পিছপা হতে রাজি ছিলেন না।
Kalesh b/w an Passenger and the railway's CCTC officer over not giving change, despite him having the money.
— Ghar Ke Kalesh (@gharkekalesh)
pic.twitter.com/C3tDGy4IdOTweet by @gharkekalesh
গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায়। তখন অন্য এক ব্যক্তি হস্তক্ষেপ করেন, যাত্রীকে টিকিটের টাকা দিতে ডিজিটাল স্ক্যানার ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। তবে ওই যাত্রীর জবাব, 'আমার কাছে স্ক্যানার নেই।'
কমেন্ট সেকশনে অনেকেই টিকিট বিক্রেতার কাছে পর্যাপ্ত নোট থাকা সত্ত্বেও খুচরো ফেরৎদিতে অস্বীকার করায় নিন্দায় সরব হয়েছেন। একজন লিখেছেন, 'জাতির আত্মা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।' অন্য একজন লিখেছেন, 'নেহি দেনে তো নেহি দেনে সরকার আদমি কি মরজি। অন্যজন লিখেছেন, 'লোকজন ৫০০ টাকার নোট নিয়ে আসেন। ১০-২০ টাকার টিকিট কেনার জন্য লোকেরা ৫০০ টাকার নোট নিয়ে আসবে, সবার জন্য খুচরো আনা সম্ভব নয়।'
