আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিধানসভায় পাশ হওয়া বহু বিল আইনে পরিণত করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ রাজ্যপাল তাতে দিনের পর দিন সাক্ষর করছেন না। কেন্দ্র কেন্দ্র বিরোধী একাধিক রাজ্যের শাসক শিবিররাজ্যপালের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছে। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। গত এপ্রিলে যুগান্তকারী রায় দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এই রায়কে সংবিধানের ১৪৩ অনুচ্ছেদ ব্যবহার করে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। সেই সংক্রান্ত শুনানিতেই বৃহস্পতিবার কেন্দ্র জানিয়েছে যে, সব সমস্যার সমাধান আদালতের মাধ্যমে হওয়া উচিত নয়। অনেক ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী কিংবা রাষ্ট্রপতির স্তরেই বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা সম্ভব।
প্রশ্ন উঠেছিল- বিধানসভায় পাশ হওয়া কোনও বিল যদি কোনও রাজ্যপাল দীর্ঘদিন বিল আটকে রাখেন, রাজ্য সরকারের কী করণীয়? জবাবে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা বলেছেন, "ধরা যাক কোনও রাজ্যপাল একাধিক বিল আটকে রেখেছেন। এর রাজনৈতিক সমাধান আছে। অনেক সময় মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলতে পারেন। দরকারে প্রতিনিধি দল গিয়ে অনুরোধ জানাতে পারে। টেলিফোনেও সমাধান সম্ভব।"
সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতার দাবি, সংবিধানে যখন কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই, তখন আদালত নিজেরা তা বেঁধে দিতে পারে না।
সলিসিটার জেনারেলের প্রশ্ন, "এই নিয়ে সংবিধানে সময়সীমার উল্লেখ নেই। তাই আদালতকেও কেউ সময়সীমা নির্ধারণের এখতিয়ার দেয়নি, যুক্তিসঙ্গততা থাকলেও আদালত কি এটি নির্ধারণ করতে পারে?"
কেন্দ্রের নিয়োগ করা রাজ্যপালরা ইচ্ছাকৃত ভাবে রাজ্য বিধানসভার পাশ করা বিল আটকে দিচ্ছেন, বা দেরি করিয়ে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাচ্ছেন। তামিলনাড়ু, কেরল এবং পঞ্জাব বহুদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে। এই অভিযোগেই তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকার এবং রাজ্যপাল আরএন রবিশঙ্করের মধ্যে দ্বন্দ্ব সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছয়।
সেই প্রেক্ষিতে গত এপ্রিলে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়- রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতি যদি কোনও বিল ফেরত পাঠান এবং তা দ্বিতীয়বার রাজ্য বিধানসভা থেকে পাস হয়ে যায়, তবে ৩০ দিনের মধ্যে সেই বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আদালতের সেই রায়কে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন সংবিধানের ১৪৩ অনুচ্ছেদের অধীনে। এই অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রপতিকে জনস্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ আইনগত প্রশ্নে আদালতের পরামর্শ চাইবার ক্ষমতা দেয়।
দেশের শীর্ষ আদালত আপাতত তার উপদেষ্টা ভূমিকার উপর জোর দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি বলেছেন যে, আদালত তামিলনাড়ু মামলার উপর আপিল করবে না এবং এই মুহূর্তে এপ্রিলের রায় বাতিলও করবে না।
আরও পড়ুন- লোকসভার পরে রাজ্যসভাতেও পাস হয়ে গেল অনলাইন গেমিং বিল, কোন কোন ভারতীয় অ্যাপগুলি প্রভাবিত হতে পারে?
