আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুনে জেলার তলে‌গাঁও ইন্দোরির ইন্দ্রায়নী নদীর উপর একটি পুরনো সেতু রবিবার দুপুরে ভারী বৃষ্টির মাঝে ধসে পড়ে। এতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সেতুটি নদীতে পড়ে গেলে জলের প্রবল স্রোতে প্রায় ১৫-২০ জন ভেসে যান। ছুটির দিনে তলে‌গাঁওয়ের কুন্দমালা পর্যটন কেন্দ্রের কাছে ইন্দ্রায়ণী নদীর রূপ দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু পর্যটক।

দীর্ঘ প্রায় ১৫ ঘণ্টার উদ্ধার অভিযান শেষে সোমবার সকালে অভিযান শেষ হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৫৫ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। মৃতদের মধ্যে তিনজনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। সেতুটি প্রায় ৪৭০ ফুট দীর্ঘ। এর প্রথম অংশটি পাথরের ঢাল, যার দৈর্ঘ্য ৭০-৮০ ফুট। এরপর রয়েছে দুটি ১০০ ফুট লম্বা লোহার খণ্ড এবং একটি ২০০ ফুট লম্বা সিমেন্টের সেকশন। সেতুটির চওড়ায় মাত্র ৪ ফুট, যার ফলে একসঙ্গে একটি বাইক এবং দু’জন মানুষ পারাপার করতে পারেন। তবে ঘটনার সময় সেতুর উপর একসঙ্গে সাত থেকে আটটি বাইক এবং বহু মানুষ ছিলেন একশোরও বেশি মানুষ সেই বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই ব্রিজে উঠে পড়েছিলেন।

কুন্দমালায় পর্যটকের সংখ্যা সম্প্রতি বেশ বেড়েছে। সপ্তাহান্তে প্রায় আট হাজার মানুষ এখান দিয়ে যাতায়াত করছেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু একসঙ্গে এত মানুষ বহনের ক্ষমতা নেই ওই ব্রিজের। জানা গিয়েছে, সেতুর ওপর বহু জায়গায় গর্ত দেখা গিয়েছিল। যার ফলে একাধিক দু’চাকার যান দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। কোনও স্থায়ী সমাধান না হওয়ায় স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে সিমেন্ট ব্লক বসিয়ে গর্ত ঢাকার চেষ্টা করেন। প্রসঙ্গত, গত বছর রাজ্যের বিজেপি বিধায়ক তথা মন্ত্রী রবিদ্র চবন সেতু মেরামতির জন্য ৮০,০০০ টাকা বরাদ্দ করেছিলেন। কিন্তু সেই টাকা দিয়ে ব্রিজের কোনও কাজই হয়নি। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর ফের অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনিক গাফিলতির।