আজকাল ওয়েবডেস্ক: রিল বানিয়ে লাখ লাখ ভিউয়ের নেশা। এ জন্য ট্রেনে উঠে যা ইচ্ছে তাই করেন বহু কনটেন্ট ক্রিয়েটর। অনেক সময় প্রাণ পর্যন্ত দিতে হয়েছে তাদের। সতর্ক করছে রেল। কিন্তু, হুঁশ ফিরছে কই? সম্প্রতি এক ভাইরাল ভিডিও-তে দেখা গেল চলন্ত ট্রেনে এক যাত্রী সিট কভার ছিঁড়ছেন। তারপর সেগুলি ট্রেনের জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দিচ্ছেন। এসব করতে গিয়ে আবার মুচকি হাসতেও দেখা গেল তাকে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি রিল বানানোর জন্য ওই বীরত্বের কাজ করছিলেন।
এক্স হ্যান্ডেলে ওই ভিডিও পোস্ট করেছেন জনৈক মি. সিনহা। যা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিও ক্যাপশনে মি. সিনহা লিখেছেন, "এই ব্যক্তিই পরে একজন ইউটিউবারের সঙ্গে কথা বলার সময়, সরকারকে দোষারোপ করবেন এবং রেলের খারাপ অবস্থার বিষয়ে নানা অভিযোগ করবেন।" তবে এ নিয়ে রেল এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি।
The same person will be seen speaking to any YouTuber and abusing the govt, claiming that the railway is in bad condition.
— Mr Sinha (@MrSinha_)
(Location & Time : Unknown) pic.twitter.com/uxJv2o74EPTweet by @MrSinha_
কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের কড়াভাবেই সতর্ক করেছে রেল। শাস্তিও দেওয়া হয়। কিন্তু, তাতে কী লাভ হচ্ছে? সেই প্রশ্ন উঠছেই।
এর আগে র আগে উত্তর প্রদেশের বস্তি রেলস্টেশনে ভাঙচুর চালাতে দেখা যায় এক যুবককে। লক করা দরজা না খোলায় রাগে অন্ত্যোদয় এক্সপ্রেস ভাংচুর চালানো হয়। ভাইরাল ভিডিও-তে দেখা যায় জানালার কাচ পাথর দিয়ে মেরে ভেঙে দিচ্ছে এক যুবক। 'ঘর কি কালেশ' নামক এক এক্স হ্যান্ডেল থেকে ভিডিও-টি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, "মানকাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ১৫১০১ অন্ত্যোদয় এক্সপ্রেসের গেট না খোলার কারণে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা কোচে পাথর ছুঁড়েছে, যার ফলে কাঁচ ভেঙে গিয়েছে, ট্রেনটি ছাপরা থেকে মুম্বই যাচ্ছিল।"
Angry passengers pelted stones at the coach due to non-opening of the gate of 15101 Antyodaya Express at Mankapur railway station, which broke the glass and caused a stampede in the train, the train was going from Chhapra to Mumbai:
— Ghar Ke Kalesh (@gharkekalesh)
pic.twitter.com/Y0N5va5ImSTweet by @gharkekalesh
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে অন্ত্যোদয় এক্সপ্রেসে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল। তাই ট্রেনের ভিতরের যাত্রীরা অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে ভিতরে থেকে কামরার দরজা বন্ধ করেছিল। এই পদক্ষেপ বাস্তি রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনে ওঠার জন্য অপেক্ষারত যাত্রীদের ক্ষুব্ধ করে।
ভাঙচুরের এই ধরনের কাজগুলি কেবল জনসাধারণের সম্পত্তিরই ক্ষতি করে না বরং যাত্রীদের নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করে।
