আজকাল ওয়েবডেস্ক: বেশ কিছুদিন ধরেই বাঘিনীর আতঙ্কে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল ওয়ানাডের বাসিন্দাদের। গত শুক্রবার বাঘিনীর হামলার মৃত্যু হয়েছিল রাধা নামে ৪৮ বছর বয়সি এক মহিলার। জঙ্গলে কফি সংগ্রহে গিয়েছিলেন রাধা। সেই সময়ই তাঁর উপর হামলা চালায় বাঘিনীটি। এরপরই গোটা অঞ্চলই মানুষখেকো বাঘিনী আতঙ্কে তটস্থ। রাধার মৃত্যুতে গোটা রাজ্য জুড়ে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়। ওয়ানাডের সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ঘটনায় শোকবার্তা জানান। বাম জোট পরিচালিত রাজ্য সরকার রাধার পরিবারের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা অর্থসাহায্যের ঘোষণা করে। কিন্তু বাসিন্দারা শান্ত হননি।  

এরপরই সরকার গত রবিবার বাঘটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে 'মানুষখেকো' হিসাবে ঘোষণা করে এবং সেটিকে হত্যার অনুমোদন দেয়। বাঘিনীটিকে খুঁজে বের করার জন্য একটি বিশেষ দল নামিয়েছে বনদপ্তর।  কার্ফু জারি করে সমগ্র অঞ্চলে চিরুনি অভিযান চালানো হয়। তবে, বাঘিনীকে বাগে আনতে পারেননি বনদপ্তরের কর্মীরা। কিন্তু এর মাঝেই ওয়ানাড়ের সাক্ষাৎ বিভীষিকা ওই মানুষখেকো বাঘিনীটির মৃতদেহ উদ্ধার হল!

বনাঞ্চলের বাইরে পিলাকাভুতে একটি বাড়ির পিছনে বাঘিনীটিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। তার শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আঘাতের জেরেই  মানুষখেকো বাঘিনীটির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বাঘিনীর মৃতদেহটি ময়নাতদন্ত হয়েছে। ময়নাতদন্তকারী দলের প্রধান পশুচিকিৎসক ডা. অরুণ জাকারিয়া বলেছেন, "সাত বছর বয়সী বাঘিনীটির ঘাড়ে গভীর আঘাত রয়েছে, সম্ভবত বনেই আঘাত লেগেছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ ময়নাতদন্তের পরে জানা যাবে।" 

বনদপ্তর স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধ করতে এলাকায় নজরদারি অব্যহত থাকবে।