আজকাল ওয়েবডেস্ক: দ্বিতীয় প্রাতরাশ বৈঠকের পর আর শুধু ঐক্যের বার্তা নয়, এবার বিরোধী বিজেপির তোপও একযোগে সামলানোর কথা জানিয়েদিলেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। উপমুখ্যমন্ত্র ডিকে শিবকুমারকে পাশে দাঁড় করিয়ে সিদ্দার সাফ দাবি, আসন্ন অধিবেশনে বিরোদী দল কংগ্রেস সংরারের বিরুদ্ধে আনাস্থা আনলে শাসক শিবির ঐক্যবদ্ধভাবে তার মোকাবিলা করবে।
মঙ্গলবার সিদ্দা ও ডিকে দ্বিতীয়বার প্রাতরাশ বৈঠক করেন। এই বৈঠকে ছিলেন, কর্ণাটকের প্রাক্তন সাংসদ ডি কে সুরেশ এবং বিধায়ক রঙ্গনাথ।
ডিকে-র বাড়িতে প্রাতরাশের পরে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেন যে, এ দিনের আলোচনায় শুধুই ৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলা বিধানসভা অধিবেশনের উপর দৃষ্টি আরোপ করা হয়েছিল। তিনি বলেন যে, কংগ্রেস অধিবেশনের জন্য তাঁদের কৌশল নির্ধারণ করেছে। বিজেপি, এইচডি কুমারস্বামীর জনতা দল (ধর্মনিরপেক্ষ) ও আর অশোকের মতো নেতাদের সঙ্গে নিয়ে যে পদক্ষেপ করবে- কংগ্রেস তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, কৃষকদের সমস্যা এবং রাজ্যের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনার হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের সম্পর্ক তলানীতে। নানা ইস্যুতে দ্বৈরথ চরমে। যাকে গুরুত্ব দিয়ে ৮ ডিসেম্বর দিল্লিতে কর্নাটকের কংগ্রেস সংসদ সদস্যদের একটি বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। সিদ্দারামাইয়ার কথায়, "কেন্দ্র এমনভাবে কথা বলছে যেন আমাদের উত্তর দেওয়ার কোনও দায়িত্ব তাদের নেই।"
কংগ্রেস হাইকমান্ডের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা প্রসঙ্গে সিদ্দারামাইয়া বলেন, যদি সময় দেওয়া হয়, তাহলে তাঁরা কংগ্রেস হাইকমান্ড রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে-র সঙ্গে দেখা করবেন এবং যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, তা মেনে নেবেন। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও যোগাযোগ হয়নি।
তাহলে কী আড়াই বছর অন্তর মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বদল সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের ইতি? প্রকাশ্যে অন্তত সেই বার্তাই দিচ্ছেন সিদ্দা ও ডিকে।
উপমুখ্যমন্ত্রী বিবাদ থেকে সরলেন? বিদ্রোহের পথে হাঁটতেই রাজি নন উপমুখ্যমন্ত্রী। কারণ তিনি জানেন যে, তাঁর গোষ্ঠীর বিধায়ক সংখ্যা কম। সিদ্দারামাইয়া ১০০ জনেরও বেশি বিধায়কের সমর্থন পাবেন ক্ষমতায় থাকতে। এছাড়াও সিদ্দা রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অহিন্দা সম্প্রদায়ের শীর্ষ নেতা। ডিকেএস-এর দাবি মূলত ২০২৩ সালের জয়ের পর ক্ষমতা বদলের প্রতিশ্রুতি রক্ষা বাস্তবায়ন এবং সমানভাবে প্রভাবশালী ভোক্কালিগা জাতের সমর্থনের উপর ভিত্তি করে।
অতএব, ডিকেএস অপেক্ষা করতে ইচ্ছুক বলে মনে হচ্ছে। তবে অনির্দিষ্টকালের জন্য নয়। গত সপ্তাহে তাঁর শিবির স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, তাঁরা আশা করছে ২০২৬ সালের এপ্রিলের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর সম্ভব হবে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর শিবির এই সময়সীমা নিয়ে খুব খুশি নয়।
সূত্র জানিয়েছে, ২০২৬ সালের পরেও ক্ষমতা হস্তান্তর বিলম্বিত করার চেষ্টা করা হতে পারে।
