আজকাল ওয়েবডেস্ক: হামিদা বানু। এখন বয়স তাঁর ৭৫। আচমকা এক ইউটিউব ভিডিওতে তাঁকে দেখে পরিবারের মানুষ চিনতে পারেন। পড়শি দেশ থেকে ফিরিয়ে আনা হয় ঘরে। ঘরে ফিরে হামিদা বলছেন, গত দু’ দশক যেন বেঁচে থেকেও মরে ছিলেন। দিন কাটিয়েছেন জীবন্ত লাশের মতো।
ঠিক কী হয়েছিল? সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ২০২২ নাগাদ হামিদাকে ভারত থেকে পাচার করা হয় পড়শি দেশ পাকিস্তানে। তাঁকে দুবাইয়ে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অন্য দেশে পাচার করা হয় বলে খবর সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। তার আগে চার সন্তানের মা বানু, অন্যদের বাড়িতে রান্নার কাজ করে সংসার চালাতেন। একটা কাজের দরকার ছিল তাঁর। সেই সময়েই আসে কাজের সুযোগ। দুবাইয়ে তাঁকে ২০হাজার টাকার চাকরির কথা বলা হয়েছিল। তারপর যখন তিনি বুঝতে পারেন, প্রতারিত হচ্ছেন, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।
হায়দরাবাদ থেকে পাকিস্তান। ওই প্রতারণা ২৩ বছর ধরে তাঁকে দিনে দিনে কুরে-কুরে খেয়েছে। কিন্তু দেশে ফেরার কিছু করতে পারেননি। তিন মাস তাঁকে একটি ঘরেও আটকে রাখা হয়, পরে সেখানে তাঁর বিয়ে হয় এক ব্যক্তির সঙ্গে। করোনা-কালে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়।
২০২২ নাগাদ, একটি ইউটিউব ভিডিওতে তাঁকে চিনতে পারেন পরিবারের লোকজন। মেয়ে তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ করেন তাঁর সঙ্গে। দুই দেশের তৎপরতায় দু’ দশক পরে ঘরে ফেরেন হামিদা বানু
