আজকাল ওয়েবডেস্ক: ডেডিকেটেড রেলওয়ে টেস্ট ট্র্যাক, রেল বিভাগের কাছে এই শব্দ অতি পরিচিত। ভারতের প্রথম রেলওয়ে টেস্ট ট্র্যাক তৈরি হচ্ছে রাজস্থানে। ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টেস্ট ট্র্যাকটি আকারে সম্পূর্ণ সোজা নয়, থাকছে অনেকগুলি বাঁক। ভারতীয় রেল মনে করছে, ২০২৫ সালের শেষেই এই ট্র্যাকের কাজ সম্পন্ন হবে।
এবারে বলা যাক, এই ট্র্যাকের অর্থ কী? কেন এই ট্র্যাক বানানো? বাঁকা রাখারই বা অর্থ কী? মূলত রোলিং স্টক পরীক্ষার জন্যই এই জাতীয় টেস্ট ট্র্যাক তৈরি হয়। ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ট্র্যাকটি সম্পূর্ন সোজা নয়, কিছু জায়গায় থাকবে বাঁক। কারণ কী জানেন? এসব বাঁক রাখার অর্থ, যাতে গতি না কমিয়ে বাঁকা ট্র্যাকের উপর দিয়ে ট্রেনটি কীভাবে যায়, সেটা পরীক্ষা করা। এই ট্র্যাকের কাজ শেষ হলে, তার উপর প্রতি ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার গতিতে চলে এমন ট্রেনের পরীক্ষা করা যাবে।
রেল জানাচ্ছে, দেশের এই প্রথম ডেডিকেটেড রেলওয়ে টেস্ট ট্র্যাক তৈরি হচ্ছে দুই ফেজে। প্রায় ৮২০ কোটি টাকা এই প্রকল্পে খরচ হবে। থাকবে ট্র্যাক, সিগন্যাল-সহ সব বিষয়ের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার।
এই টেস্ট ট্রাকে ৭টি স্টেশন থাকবে। এই ডেডিকেটেড টেস্ট ট্র্যাক শুধু ভারতের প্রথম নয়, বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা ডেডিকেটেড টেস্ট ট্র্যাক হতে চলেছে। এই টেস্ট ট্র্যাক আধুনিকতার দিকে রেলের অগ্রসরের একটি মাইলফলক বলেই মনে করছে ভারতীয় রেল
