আজকাল ওয়েবডেস্ক: বেঙ্গালুরুকে একদিকে আধুনিকতা ও অন্যদিকে প্রযুক্তির শহর বলা যায়। আর সেই বেঙ্গালুরুতেই এক লেসবিয়ান দম্পতি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর এখন সবার মুখে মুখে। খবরটা শুনে সবাই খুব খুশি, অভিনন্দনও জানাচ্ছেন। তবে তার মধ্যেই লুকিয়ে আছে এক ধরনের চাপা কৌতূহল। সমাজ আধুনিক হলেও, এই ঘটনা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু জানতে চাইতে সবাই ভয় পাচ্ছেন। অস্বস্তিতে ভুগছেন। ঘটনার জেরে সম্প্রতি দম্পতিকে ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে শহরজুড়ে।

জানা গিয়েছে, এই দম্পতি সম্ভবত বিশেষ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সাহায্য নিয়েছেন। সহজ কথায় যাকে বলে 'টেস্ট টিউব বেবি' পদ্ধতি (IVF)। সমলিঙ্গের দম্পতিরা যখন সন্তানের জন্ম দিতে চান, তখন আধুনিক বিজ্ঞান তাঁদের সেই স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করে। এই পদ্ধতিতে, একজন দাতার শুক্রাণু এবং দম্পতির মধ্যে একজনের ডিম্বাণু ব্যবহার করা হয়। সেই ভ্রূণটি দম্পতির যে কোনও একজনের জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা হয়। এর ফলে সন্তানটির সঙ্গে দম্পতির একজনের রক্তের সম্পর্ক থাকে।

ঘটনার জেরে, এলাকায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। দম্পতিকে সবাই শুভেচ্ছা জানালেও আড়ালে চাপা গুঞ্জন চলছে। লোকজনের মনে ঘুরেফিরে একই প্রশ্ন। শহরজুড়ে এখন একই গুঞ্জন, "কার ডিম্বাণু ব্যবহার করা হলো?" আর "দুজনের মধ্যে কে সন্তানকে জন্ম দিচ্ছেন?"

অন্যদিকে, সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চল সাক্ষী হল এক অন্যরকম ভালবাসার কাহিনির। মন্দিরবাজারের রিয়া সর্দার ও বকুলতলার রাখি নস্কর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন। ছোটবেলাতেই মা-বাবাকে হারিয়ে মাসি-মেসোর কাছে বড় হয়েছেন রিয়া। অন্যদিকে রাখি নিজের পরিবারেই বেড়ে ওঠেন। দুজনেই পেশায় নৃত্যশিল্পী। প্রায় দুই বছর আগে পরিচয় হয় তাঁদের। ফোনালাপে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। তারপর ধীরে ধীরে গভীর সম্পর্ক।

রিয়া যখন পরিবারের কাছে সম্পর্কের কথা জানান, তারা তা মেনে নেয়নি। বাধ্য হয়ে রিয়া বাড়ি ছাড়েন এবং রাখির বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। রাখির পরিবার শুরু থেকেই পাশে দাঁড়ায়। প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলোচনা করেই তাঁদের বিয়ের আয়োজন হয় স্থানীয় এক মন্দিরে। পরস্পরের গলায় মালা পরিয়ে জীবনের নতুন অধ্যায়ে পা রাখেন দুই তরুণী।

সমাজের নানা বাঁধাধরা নিয়ম, ভয় আর সংকোচকে অগ্রাহ্য করে নিজের মতো করে বাঁচার সাহস দেখালেন রিয়া ও রাখি। সুন্দরবনের বুক থেকে ভালবাসার এই গল্প যেন নতুন প্রজন্মকে শেখায়, ভালবাসার কোনও লিঙ্গ নেই, কোনও সীমানা নেই।