আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের মেয়ের রহস্যমৃত্যু। ঘর থেকে উদ্ধার গর্ভবতী তরুণীর ঝুলন্ত দেহ। পরিবারের দাবি, শ্বশুরবাড়িতে পণের জন্য হেনস্থার কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। অন্যদিকে তাঁর স্বামীর দাবি, পরিবারের সদস্যরাই তাঁকে খুন করেছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে আইএএস অফিসার মেয়ের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতার নাম, মাধুরী। তরুণী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। পরিবারের দাবি, গর্ভবতী মাধুরী আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু তাঁর স্বামীর দাবি, মাধুরীকে খুন করা হয়েছে। খুনের অভিযোগ তুলেছেন মাধুরীর পরিবারের বিরুদ্ধেই। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যার গল্প বানিয়ে বলছেন বলে দাবি তাঁর।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, মাধুরী ও রাজেশ নাইডু কয়েক বছর ধরেই প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন। প্রেম করেই বিয়ে করেন তাঁরা। কিন্তু এই সম্পর্কে আপত্তি ছিল মাধুরীর পরিবারের। তাঁদের বিয়েতেও রাজি ছিলেন না। তিন মাস আগে রাজেশের থেকে মাধুরীকে জোরজবরদস্তি করে বাড়িতে নিয়ে যায় পরিবার। তারপর থেকে বাবার বাড়িতেই ছিলেন মাধুরী।
রাজেশ জানিয়েছেন, বাড়িতে তুমুল নির্যাতনের শিকার হতেন মাধুরী। বিয়ে ভাঙার জন্য হেনস্থা ও জোরজবরদস্তি করা হয়েছিল তাঁকে। অন্যত্র বিয়ে করার জন্যেও জোর করা হয়েছিল তাঁকে। যা ঘিরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন মাধুরী। তাঁর দাবি, পরিকল্পনামাফিক মাধুরীকে খুন করা হয়েছে। আত্মহত্যার গল্প বানিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে মাধুরীর পরিবারের দাবি, বিয়ের পর রাজেশের পরিবার পণের জন্য হেনস্থা করত তাঁকে। পণের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েই নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। ঘটনাটি ঘিরে মামলা রুজু করে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে গত এপ্রিল মাসেই দাম্পত্য কলহের জেরে আরও একটি ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। দাম্পত্য কলহের চরম পরিণতি। আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীয়ের গলা টিপে খুন করেন স্বামী। মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যু হয় তাঁর। স্ত্রীকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ঘাতক স্বামী। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন তিনি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সকালে ২৭ বছরের অনুষা ও জ্ঞানেশ্বরের মধ্যে তুমুল বচসা হয়। ঝগড়া চলাকালীন অনুষাকে গলা টিপে খুন করেন। পরে থানায় এসে খুনের বর্ণনা দেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা গেছে, তিন বছর আগে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন অনুষা ও জ্ঞানেশ্বর। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই দু'জনের মধ্যে নিত্যদিন ঝামেলা, অশান্তি হত। পরিবার, প্রতিবেশীরাও দু'জনের ঝামেলার কথা জানতেন। অনুষা আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। সেদিন সকালেও হঠাৎ তর্কাতর্কি শুরু হয় দু'জনের মধ্যে। রাগের মাথায় অনুষার গলা টিপে ধরেন জ্ঞানেশ্বর। জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন হবু মা। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান জ্ঞানেশ্বর।
সে সময় পরিবার ও বন্ধুদের যুবক জানিয়েছিলেন, অনুষার আচমকা শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর থানায় গিয়ে নিজেই খুনের ঘটনাটি জানান যুবক। সে সময়েই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে।
