আজকাল ওয়েবডেস্ক: গ্রামের রাস্তা ভেঙে চুরমার। আর তার ফল ভুগতে হচ্ছে কচিকাঁচাদের। কর্ণাটকের চামরাজনগর জেলার ঘটনা। জানা গিয়েছে, এক গ্রামের পড়ুয়ারা কার্যত স্কুল যাওয়ার জন্য রোজ প্রায় সাত কিলোমিটার পথ ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে হেঁটে পেরোতে বাধ্য হচ্ছে। বাঘ, হাতি, চিতাবাঘের মতো বন্যপ্রাণীর মুখোমুখি হওয়ার ঝুঁকি নিয়েই চলছে এই বিপজ্জনক যাত্রা।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই রাস্তাটি মালে মহাদেশ্বর পাহাড়ের বনভূমির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। এই অঞ্চলটি বন্যপ্রাণীর উপস্থিতির জন্য কুখ্যাত। তবুও পাক্কেডড্ডি গ্রামের এই ছাত্রছাত্রীদের কাছে অন্য কোনও পথ খোলা নেই। গ্রামের রাস্তা গুরুতর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ। তাই তাদের স্কুলে পৌঁছনোর জন্য জঙ্গল-পথ ছাড়া গতি নেই।

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এর আগে বন দপ্তর পড়ুয়াদের নিরাপত্তার জন্য একটি জিপের ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু সেই পরিষেবাও এখন বন্ধ।

অভিভাবকদের অভিযোগ, বাস পরিষেবা চালু করা বা রাস্তা মেরামতির জন্য আধিকারিকেরা কোনও উদ্যোগই নিচ্ছেন না। ফলে, কোনও রকম যাতায়াতের ব্যবস্থা না থাকায় ছেলেমেয়েদের আবারও সেই বিপজ্জনক, দৈনন্দিন জঙ্গল-পথ পেরোনোর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকরা একযোগে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার কাছে চিঠি লিখেছেন। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে তাঁরা অনুরোধ করেছেন, হয় রাস্তাটি মেরামত করা হোক, অথবা স্কুলে যাতায়াতের জন্য বাস পরিষেবা পুনরায় চালু করা হোক, যাতে তাদের নিরাপদে স্কুলে পৌঁছনো নিশ্চিত হয়।

এক পড়ুয়া আকুতি জানিয়ে বলেছে, "মুখ্যমন্ত্রী বা স্থানীয় বিধায়কের কি আমাদের দুর্দশা চোখে পড়ছে না? আমরা তাঁদের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন জানাচ্ছি। তাঁরা হয় একটি বাস বা জিপের ব্যবস্থা করুন, যাতে আমরা যাত্রাপথে বন্য জন্তুর বিপদের ভয় ছাড়াই নিরাপদে স্কুলে যেতে পারি।"