অরিন্দম মুখার্জি

 

বিহারে বন্যার পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। জানা গিয়েছে, অত্যধিক ভাবে বাড়তে শুরু করেছে বিহারের নদীর জলস্তর। বন্যা কবলিত এলাকাগুলিতে উদ্ধারকার্যের জন্য এন ডিআরএফ এবং এসডিআরএফ দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জানানো হয়েছে, গঙ্গা,কোসী,শোন,ঘাগড়া,গন্ডক,বুড়িগণ্ড এবং বাগমতি নদীতে জলস্তর বাড়ার সম্ভাবনা। কিছু কিছু নদীতে বিপদসীমার ওপরে ইতিমধ্যেই জলস্তর পৌঁছে গিয়েছে। তবে রাজ্যের সেচ দপ্তর জানিয়েছে, বাঁধ ঠিকঠাক ভাবেই আছে এবং সুরক্ষিত আছে।

 

 

জাতীয় জলদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পাটনা জেলায় দীগা কাটে বুধবার গঙ্গা নদীর নির্দিষ্ট সীমা থেকে একান্ন সেন্টিমিটার নিচে ছিল জলস্তর। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।, পাটনার গান্ধী ঘাটে বুধবার গঙ্গা নদীর জল বিপদ সীমানার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার তা ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। মুঙ্গেরে গঙ্গা বিপদ সীমানার ৫২ সেন্টিমিটার নিচে ছিল কিন্তু বৃহস্পতিবার তা ২৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাগলপুরের গহলগাঁওয়ের কাছে গঙ্গায় জলস্তর ইতিমধ্যেই বিপদ সীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপরে।

 

 

অন্যদিকে, শিবায়ন জেলায় দড়ি নদীর জল বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। গোপালগঞ্জ জেলায় ঘাগড়া নদীর জল বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা।  সীতামাঢ়ি জেলায় বাগমতির জলস্তর বুধবারের তুলনায় বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা। মধুবনি জেলায় ঝাঁজপুরের ওপর দিয়ে যে কমলা বানান নদীও বিপদসীমার ওপরে। রাজ্যজুড়ে একাধিক নদীতে এই অবস্থা থাকায় কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না সরকার। সে কারণেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে উদ্ধারকারী দল।