আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ জামিনে ছাড়া পেতেই বীভৎস কাণ্ড ঘটাল ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবক। নির্যাতিতাকে খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করে একাধিক জায়গায় ফেলে দিল। ওড়িশার এই ঘটনায় খুনের অভিযোগে এবার ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।


অভিযুক্ত যুবক ওড়িশার সুন্দরগড় জেলার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে গত ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের তরফে ধারুয়াডিহি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে আগস্টেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে জামিনে ছাড়া পান ওই অভিযুক্ত।


ঝাড়সুগুদার পুলিশ সুপার পারমার স্মিত পুরুষোত্তমদাস বলেছেন, ‘চলতি বছরের ৭ ডিসেম্বর মেয়েটির পরিবার একটি নিখোঁজ ডায়রি করে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে শেষ বার নির্যাতিতাকে দুই যুবকের সঙ্গে একটি বাইকে উঠতে দেখা গিয়েছিল। দু’জনেরই মুখ ছিল হেলমেটে ঢাকা। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই প্রযুক্তি)–র সাহায্য নিয়ে ওই দুই যুবককে শনাক্ত করা হয়। দু’জনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দুই যুবকের মধ্যে এক জন মূল অভিযুক্ত। অপর জন তার পরিচিত। তিনিও নির্যাতিতাকে খুনে ওই যুবককে সাহায্য করেছিলেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। 


পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতা সুন্দরগড়ের বাসিন্দা হলেও ঝাড়সুগুদায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকত। চলতি মাসের শুরুতে হঠাৎ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় সে। পুলিশি তদন্তে জানা গেছে, অভিযুক্তরা প্রথমে নির্যাতিতাকে রাউরকেলা ও দেওঘড়ের মাঝামাঝি ১৪৩ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটে খুন করে। তার পর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে নদীতে ফেলে দেয়। পুলিশ এবং ওড়িশার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী যৌথ তল্লাশিতে চালিয়ে নির্যাতিতার মাথা–সহ দেহের একাধিক অংশ উদ্ধার করেছে। বাকি দেহাংশগুলির খোঁজ চলছে। জেরায় অভিযুক্ত খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রমাণ লোপাট করতেই এই কাণ্ড বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত।