আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাদুরাইয়ে আয়োজিত সিপিএমের ২৪তম পার্টি কংগ্রেসে গঠিত হয়েছে নতুন ৮৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি। এই কমিটিতে মহিলা প্রতিনিধিত্ব বেড়ে হয়েছে ২০ শতাংশ, যা আগে ছিল ১৭ শতাংশ। নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা করে নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য নেত্রী কনীনিকা ঘোষ এবং আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সংগঠক।
এছাড়াও বাংলার দার্জিলিং জেলা সম্পাদক সমন পাঠক, হুগলির দেবব্রত ঘোষ, পূর্ব বর্ধমানের সৈয়দ হোসেন এবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে জায়গা পেয়েছেন। বয়সের কারণে সূর্যকান্ত মিশ্র, রবীন দেব ও রেখা গোস্বামী এবার কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। আগে যেখানে বাংলার ১৩ জন সদস্য ছিলেন, এবার তা বেড়ে দাঁড়াল ১৫ জনে।
রবিবার পার্টি কংগ্রেস থেকে ১৮ সদস্যের নতুন পলিটব্যুরোও গঠন করা হয়েছে। প্রথমবার পলিটব্যুরোয় নির্বাচিত হয়েছেন শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, অমরা রাম, বিজু কৃষ্ণন, মারিয়াম ধাওয়ালে, ইউ বাসুকি, কে বালাকৃষ্ণন, জিতেন্দ্র চৌধুরী এবং আর অরুণকুমার।
সিপিএমের সাংগঠনিক রিপোর্টে দেখা গেছে, গত তিন বছরে মহিলা সদস্যের হার ১৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০ শতাংশে পৌঁছেছে, আর তরুণ সদস্যের হার বেড়ে হয়েছে ২২.৬ শতাংশ। কেরল ও বাংলার পর সদস্যসংখ্যায় তামিলনাড়ু এখন তৃতীয় স্থানে। তবে বাংলায় আন্দোলন-নির্ভর ছাত্র ও যুব নেতৃত্ব থাকার পরও সদস্য অন্তর্ভুক্তির হার সামান্য কমেছে।
প্রসঙ্গত, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় পার্টি কংগ্রেসের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন— যা সাধারণত ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের ইঙ্গিত দেয়। তাঁর কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্তি ছিল অনেকটাই প্রত্যাশিত। দলের মতে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে তরুণ মুখ মীনাক্ষীর মতো নেতাকে সামনে আনা কর্মীদের মনোবল বাড়াবে। তিনি অতীতে ব্রিগেড জমায়েত সহ একাধিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন— যা তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতার প্রমাণ বলেই মনে করছে সিপিএমের একটি বড় অংশ।
যদিও পলাশ দাস, কল্লোল মজুমদার, তাপস সিনহা এবং জামির মোল্লার নাম আলোচনায় থাকলেও তারা এবার কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাননি। তা সত্ত্বেও নতুন কমিটি গঠনে পশ্চিমবঙ্গের প্রভাব যে বাড়ছে, তা স্পষ্ট।
