আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুক্রবার কর্নাটকের শিবমোগা কেন্দ্রীয় কারাগারে মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সময়ে তাজ্জব ঘটনা। জেল কর্তৃপক্ষ ১২৩ গ্রাম গাঁজা এবং কয়েক ডজন সিগারেট বেজায়াপ্ত করেছেন। একজন অটোচালক কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে দাবি করেন যে, তিনি কারাগারের ক্যান্টিনের বরাত মতো পাঁচ বস্তা কলা সরবরাহ করছেন। অটোচালক বস্তাগুলি গেটের বাইরে রেখে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে চলে যান। এরপরই কারাগারের নিরাপত্তা কর্মীদের নিয়মিত তল্লাশিতে জানা যায় যে, কলার বস্তাগুলি সাবধানে খোলা হয়েছিল। যার মধ্যে থেকে গাম টেপে মোড়ানো গাঁজা এবং সিগারেটের প্যাকেট লুকানো ছিল। মাদকগুলি কলাগাছের কাণ্ডের মধ্যে লুকানো হয়েছিল।

কারাগারে দ্বিতীয় চোরাচালানের চেষ্টা
জেল কর্তৃপক্ষ যখন প্রথম চোরাচালানের চেষ্টা ধরে,, তখন কর্তব্যরত একজন এসডিএ কর্মীকে ১৭০ গ্রাম গাঁজা বহন করতে দেখা গিয়েছিল। যা একইভাবে গাম টেপে মোড়ানো ছিল। অভিযুক্ত এসডিএ কর্মী অন্তর্বাসের নীচে প্যাকেজটি লুকিয়ে রেখেছিলেন। তাঁকে ঘটনাস্থলেই আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

প্যাকিং পদ্ধতি, ঘটনার সময় এবং অবস্থান একই রকম হওয়ায় জেল কর্তৃপক্ষ মনে করছেন যে, দু'টি ঘটনা একই চোরাচালান পরিকল্পনার অংশ। জানাজানি, ধরার পরার ভয়ে কলার বস্তা করে এবার মাদক জেলের অভ্যন্তরে পাচার করা হচ্ছে।

উভয় ঘটনাই তুঙ্গানগর পুলিশে রিপোর্ট করা হয় এবং কর্নাটক কারাগার আইন এবং নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস (NDPS) আইনের প্রাসঙ্গিক ধারার অধীনে অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছিল।

জেলের কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত, নাকি বহিরাগতদের হাত রয়েছে, এই ধরণের নেটওয়ার্ক কতদিন ধরে কাজ করছে তা নিয়ে পুলিশ আরও গভীর তদন্ত শুরু করেছে।          

বেঙ্গালুরু কারাগার নিয়ে বিতর্ক
কয়েক সপ্তাহ আগেই শিবমোগা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দিদের মদ নিয়ে পার্টি করার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। যা নিয়ে তুভ্হে ওঠে বিতর্ক। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর, কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর জেলে সংস্কার এবং শাস্তির ঘোষণা করে। এরপর ফের কারাগারে কলার বস্তা করে মাদক প্রবেশ করানোর ঘটনা সামনে এল। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরমেশ্বর বলেছেন যে, অনলাইনে প্রকাশিত পাঁচটি ভিডিওর মধ্যে তিনটি ২০২৩ সালের এবং দু'টি এই বছরের। ভিডিওগুলিতে বন্দিদের নাচতে, টেলিভিশন দেখতে, মদ্যপান করতে এবং মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে।