আজকাল ওয়েবডেস্ক: অল্পবয়সী মানুষদের মধ্যে ক্যান্সারের প্রবণতা প্রতিদিন বাড়ছে। এই সংখ্যা আবার মহিলাদের মধ্যে বেশি। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির সাম্প্রতিক রিপোর্টে তোলপাড় রীতিমতো।  কী বলা হয়েছে সেখানে?  বলা হয়েছে বুক, পাকস্থলী, গোপনাঙ্গে ক্যান্সারের হার সবথেকে বেশি। যদিও ক্যান্সারের প্রভাব যেকোনও বয়সের মধ্যেই দেখা গিয়েছে। তবে কম বয়সের মধ্যে এর প্রবণতা বেশি দেখা গিয়েছে।


এর মধ্যেই বিজ্ঞানীরা আরও অবাক করা তথ্য দিয়েছেন। তেমনটাই খবর সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে। তাতে বলা হয়েছে, এমন এক টিকা তৈরি হচ্ছে, যে টিকা শরীরে প্রবেশ করলে শরীরে ক্যান্সার থাবা বসানোর আগেই বর্ম তৈরি করবে। 


ইউভার্সিটি অফ অক্সফোর্ড এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে, তারা ওই টিকা অবিষ্কার করেছে। যে ভ্যাকসিন তারা তৈরি করেছে, তা মানব দেহে এই মারণ রোগ বাসা বাঁধার আগেই, তৈরি করবে বর্ম। 

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সারাহ ব্লাগডেন, যিনি নতুন জিএসকে-অক্সফোর্ড ক্যান্সার ইমিউনো-প্রিভেনশন প্রোগ্রামের সহ-নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, এই টিকা শরীরে ক্ষতি করার আগেই ক্যান্সারের কোষগুলিকে বিনষ্ট করবে। তিনি আরও বলেছেন, অনেকেই মনে করেন, মানব দেহে ক্যান্সার দু’ বছর কিংবা তার আশেপাশের সময়ে থাবা বসায়, বিস্তার করে। কিন্তু কখনও কখনও এই প্রক্রিয়া চলে প্রায় ২০ বছর ধরেও। একটি স্বাভাবিক কোষ ক্যান্সারে রূপান্তরিত হতে কখনও কখনও সময় লেগে যায় ২০ বছরের বেশিও। এই পরিবর্তন প্রক্রিয়ায় এই মারণ রোগের উপস্থিতি বোঝা যায় না। এই টিকা আসলে ওই প্রাক-ক্যান্সার পর্যায়কে বন্ধ করার জন্যই। 


বিশেষজ্ঞর মতে, তাঁরা শনাক্ত করেছেন যে দেহের স্বাভাবিক কোষগুলির ক্যানসারের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময়, অর্থাৎ প্রাক-ক্যান্সার স্টেজে কী কী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, সেসব পরীক্ষা করার পরেই, ওই ভ্যাক্সিন প্রস্তুত করে হয়েছে।