আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিহারে গণনা চলছে সকাল থেকে। প্রথম আড়াই ঘণ্টার গণনাতেই, বড় লাফ দিয়ে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি-জেডিইউ'র এনডিএ। আর তার পরেই হুঙ্কার দিতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। এক কথায়, বিহারের ফলাফল দেখে, যেন বিজেপি নেতারা গুলিয়ে ফেলছেন বাংলাকে বিহারের সঙ্গে। বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ, হুঙ্কার দিয়ে ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছেন, বিহারের পর লক্ষ্য, বাংলা। 

শুক্রবার সকালে বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ বলেছেন, 'এখানে (বিহারে) আমাদের জয় হয়েছে। এ বার বাংলার পালা।' তিনি বলেন, 'বিহার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে অরাজকতার সরকার গঠন করা হবে না। বিহারের যুবকরা বুদ্ধিমান। এটি উন্নয়নের জয়। আমরা বিহার জিতেছি। এখন বাংলার পালা। যাঁরা বিহারকে বোঝেন, তাঁরা এটাও জানেন যে, এখানকার মানুষ ‘জঙ্গলরাজ’চায় না। তেজস্বী যাদব যখন অল্প সময়ের জন্য সরকারে ছিলেন, তখনও মানুষ বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা দেখতে পেয়েছিল। বিহারের জনগণ বিশৃঙ্খলা আর দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। মানুষ শান্তি, ন্যায়বিচার এবং উন্নয়ন বেছে নিয়েছে। ' 

তারপরেই বাংলা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতার মন্তব্য,  'আমরা বাংলাতেও জিতব। ওখানকার বর্তমান সরকার বাইরের শক্তির মদতে রাজ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। কিন্তু বাংলার মানুষ এ বার সত্যটা বুঝতে পারবেন।' 

 

কিন্তু বিজেপির অবস্থান কী বাংলায়? ২০২১-এর বিধাসভা ভোটের কথা ধরা যাক। ২৯৪ আসনের বিধানসভা বাংলায়। গত ভোটে, তৃণমূল কংগ্রেস, অর্থাৎ বাংলার শাসক দল জিতেছিল ২১১ আসন। বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ৭৭টি আসন। ২০২৫-এর হিসেবে, বাংলায় তৃণমূলের আসন সংখ্যা এখন ২১৩, অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের বহু বিধায়ক দল ছেড়ে, এখন বিধানসভায় তাঁদের আসন সংখ্যা ৬৫। 

 

২০১৯-এর লোকসভা ভোটের ফলাফল দকেহা গেলে, বাংলায় বিজেপি জিতেছিল ১৮টি, এবং তৃণমূল ২২টি আসন জিতেছিল ৪২ আসনের মধ্যে। ২০২৪-এর ভোতে বদলে যায় সেই সমীকরণ। তৃণমূল কংগ্রেস ২২ থেকে লাফিয়ে জেতে ২৯ আসনে, অন্যদিকে বিজেপি নেমে যায় ১২ আসনে। গেরুয়া শিবির বাংলায় এমনিতেও খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেনি ২০২১ থেকে ২০২৫-এর মাঝের সময়কালে। সেখানে বিহারে গেরুয়া ঝড়ের ইঙ্গিত পেয়ে, যে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা, তা আদৌ কি কার্যকরী হবে?