আজকাল ওয়েবডেস্ক: আসামের সাংবাদিক দিলওয়ার হুসেন মজুমদারকে গ্রেপ্তার এবং পুনরায় গ্রেপ্তারের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে আলোড়ন। প্রথমে অভিযোগ ওঠে, মজুমদার এক নিরাপত্তা রক্ষীকে তাঁর উপজাতি পরিচিতি উল্লেখ করে অপমান করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে ২৫ মার্চ রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তার আগে তাঁকে প্রায় নয় ঘণ্টা আটক রাখা হয়েছিল, এবং তারপরে এ অভিযোগ সামনে আনা হয়। আদালত পরের দিন তাঁকে জামিন দিলে, পুলিশ আবার ২৭ মার্চ রাতে তাঁকে পুনরায় গ্রেপ্তার করে।
এবার অভিযোগ আসে আসাম কো-অপারেটিভ অ্যাপেক্স ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং অন্য একজন কর্মচারীর কাছ থেকে। তাঁরা দাবি করেন, মজুমদার তাঁদের অফিসে জোর করে প্রবেশ করে গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরি করার চেষ্টা করেছিলেন। অথচ গ্রেপ্তারের আগে মজুমদার একটি ভিডিও রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন, যেখানে ব্যাংকের এমডির সাথে দুর্নীতি এবং নিয়োগ কেলেঙ্কারির প্রশ্ন তুলেছিলেন।
বিরোধী দলীয় নেতা গৌরব গোগোই অভিযোগ করেছেন, ব্যাংকটির পরিচালনা বিজেপি নেতা এবং মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার ঘনিষ্ঠ সহযোগী বিশ্বজিৎ ফুকন-এর হাতে। গোগোই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘সমালোচনা স্বাগত’ বক্তব্য উল্লেখ করে প্রশ্ন তোলেন, কেন তাঁর দলের নেতারা এই মনোভাব গ্রহণ করছেন না।
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মজুমদারের সাংবাদিক পরিচয় অস্বীকার করেন এবং দাবি করেন তিনি সাংবাদিক নন, বরং ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বী। তাঁর মতে, আসাম সরকার ডিজিটাল মিডিয়াকে স্বীকৃতি দেয় না। তা সত্ত্বেও, আসামের সাংবাদিক সমাজ মজুমদারকে একজন সত্যিকারের সাংবাদিক হিসেবেই গণ্য করছে।
আসামের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন এবং জাতীয় স্তরের সম্পাদকীয় সংগঠনগুলো এই ঘটনায় মজুমদারের সমর্থনে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
