আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২০২৫-এর হারুন ইন্ডিয়া মোস্ট ভ্যালুয়েবল ফ্যামিলি বিজনেস তালিকায় আবারও শীর্ষে আম্বানি পরিবার। এটি টানা দ্বিতীয় বছর তারা এই স্থান ধরে রাখল। তাদের পারিবারিক ব্যবসা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ-এর মূল্যায়ন করা হয়েছে প্রায় ২৮.২ লাখ কোটি, যা ভারতের মোট জিডিপি-র প্রায় দ্বাদশাংশ! 


বিড়লা পরিবার দ্বিতীয়, জিন্দাল তৃতীয়। কুমার মঙ্গলম বিড়লা পরিচালিত বিড়লা পরিবার এবার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। যার মূল্যায়ন ৬.৫ লাখ কোটি। গত বছরের তুলনায় ১.১ লাখ কোটি বেশি। তৃতীয় স্থানে রয়েছে সাজ্জন জিন্দাল-এর জিন্দাল পরিবার। যাদের সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫.৭ লাখ কোটি। এক বছরে ১ লাখ কোটি বৃদ্ধিসহ। এই শীর্ষ তিনটি পরিবার মিলিয়ে মোট সম্পদ দাঁড়ায় ৪০.৪ লাখ কোটি, যা প্রায় ফিলিপাইনের মোট জিডিপি-র সমান।

আরও পড়ুন: বাড়িতে থাকা সাপের গর্ত কীভাবে চিনবেন, তারপর কী করবেন


অনিল আগরওয়াল ও তার পরিবার, যাদের সম্পদ ২.৬ লাখ কোটি। এক লাফে ৬ ধাপ উপরে উঠে প্রথমবার শীর্ষ ১০-এ স্থান করে নিয়েছে। এবার শীর্ষ ১০-এ প্রবেশের জন্য ন্যূনতম সম্পদ প্রয়োজন ছিল ২.২ লাখ কোটি যা ভারতীয় পারিবারিক ব্যবসার ক্রমবর্ধমান শক্তির ইঙ্গিত দেয়।


মুকেশ আম্বানি-র নেতৃত্বে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ যেটির যাত্রা শুরু হয়েছিল জ্বালানি খাতে। এখন রিটেল ও ডিজিটাল পরিষেবাতেও বড়সড় প্রভাব ফেলছে। এটি ১৯৫৭ সালে ধীরুভাই আম্বানি প্রতিষ্ঠা করেন।


আদিত্য বিড়লা গ্রুপ, কুমার মঙ্গলম বিড়লার নেতৃত্বে, সিমেন্ট ও সংশ্লিষ্ট শিল্পখাতে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছে। এর শিকড় ১৮৫০-এর দশকে এবং এখন এটি চতুর্থ প্রজন্ম দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।


তৃতীয় স্থানে থাকা JSW স্টিল সাজ্জন জিন্দাল-এর নেতৃত্বে। ভারতে ধাতু ও খনিজ খাতে অন্যতম প্রধান নাম এবং দেশের পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।


পাশাপাশি রয়েছে বাজাজ পরিবার (সঞ্জীব বাজাজ)  ৫.৬ লাখ কোটি, মহিন্দ্রা পরিবার (আনন্দ মহিন্দ্রা) ৫.৪ লাখ কোটি, নাদার পরিবার ৪.৭ লাখ কোটি, মুরুগাপ্পা পরিবার ২.৯ লাখ কোটি, প্রেমজি পরিবার ২.৮ লাখ কোটি, আগরওয়াল পরিবার ২.৬ লাখ কোটি, ডানি, চোকসি ও বকিল পরিবার ২.২ লাখ কোটি।


ভারতের এই শীর্ষ পারিবারিক ব্যবসাগুলোর মধ্যে জ্বালানি, আর্থিক পরিষেবা ও সফটওয়্যার খাতই সবচেয়ে বেশি সম্পদ তৈরি করেছে। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়— ঐতিহ্য এবং উদ্ভাবন, উভয় মিলিয়েই গড়ে উঠছে ভারতের কর্পোরেট ভবিষ্যৎ।


যদি এভাবেই চলতে থাকে তাহলে সেদিন বেশি দেরি নেই যে ভারতের এই ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতিতে আরও বেশি করে প্রভাব ফেলবে। সেদিক থেকে দেখতে হলে ভারত নিজের টার্গেট যা বিশ্বের অন্য দেশের অর্থনীতিকে ছাপিয়ে যাওয়া সেদিকে আরও বেশি করে এগিয়ে যেতে পারবে।