আজকাল ওয়েবডেস্ক: ওপারে চলছে  'কাশ্মীর সংহতি দিবস' উদযাপন। তার মাঝেই ভারতকে চাপে ফেলতে মরিয়া পাকিস্তান। সূত্রের খবর, গত ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারি পুঞ্চের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাক অনুপ্রবেশকারীরা অতর্কিত আক্রমণ চালায়। যদিও তা ব্যর্থ করে দেয় ভারতীয় সেনা বাহিনী। পাল্টা আক্রমণে নিহত হয় ৭ পাক অনুপ্রবেশকারী। জানা গিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তিন জন পাক সেনা জওয়ান। নিহত অনুপ্রবেশকারীরা সম্ভবত আল-বদর গোষ্ঠীর সদস্য ছিল।

আসলে পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীরা কুখ্যাত বর্ডার অ্যাকশন টিমের (বিটিএ) সহায়তায় ভারতীয় সেনাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালাতে চেয়েছিল বলে খবর। বিএটি হল পাকিস্তানের আন্তঃসীমান্ত অপারেশন দল। বর্ডার অ্যাকশন টিমকে এলওসি-তে গোপন হামলা চালানোর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পাকিস্তানের এই এজেন্সি সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের ওপর আগেও হামলা চালিয়েছে। সূত্র জানায় যে, ভারতীয় সেনারা এলওসি-তে পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীদের দেখা মাত্রই গুলি করে। 

দিন কয়েক আগেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দাবি করেন যে, আলোচনার মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর-সহ সমস্ত সমস্যা সমাধান করতে চায় তারা। মজার বিষয় হল, জৈশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) এবং লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি)-র মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সদস্যরা পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) একটি সম্মেলন করে পড়শি দেশের ভণ্ডামি মুখশ খুলে দেয়। 

ভারত বারবার বলে আসছে যে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ 'দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং চিরকাল থাকবে'। এছাড়াও দাবি করে যে, সন্ত্রাস ও হিংসামুক্ত পরিবেশে কেবল পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক সম্ভব।

নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ধারা ৩৭০ বাতিল করার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক তলানীতে পৌঁছায়। সাম্প্রতিককালে জম্মু অঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় জঙ্গি হামলা বেড়েছে, যার মধ্যে ১৮ জন নিরাপত্তা কর্মী-সহ ৪৪ জন নিহত হয়েছেন।