আজকাল ওয়েবডেস্ক: মানা হয়নি কোনও নিয়ম। প্রশাসনের চোখে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মন্দিরের পাশে করা হয়েছিল বাজি মজুত। সেই বাজি ফাটিয়ে চলছিল উৎসব। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তা পরিণত হল শোকের উৎসবে। আহত হলেন ১৫০ এর বেশি। গুরুতর অবস্থায় ভর্তি দশ। পরে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বেআইনি ভাবে বাজি মজুত করার অপরাধে কেরালার ওই মন্দির কর্তৃপক্ষকে ধরে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, অঞ্জুত্তম্বলম ভিরার কাভু মন্দিরে সন্ধ্যেবেলা বাজি উৎসব দেখার জন্য জড়ো হয়েছিলেন বিপুল পরিমাণ লোক। মন্দিরের ১০০ মিটারের মধ্যে একটি টিনের চালার ঘরে রাখা হয়েছিল বাজি মজুত করে। সেখান থেকে বাজি নিয়ে এসে একটা করে বাজি ফাটানো হচ্ছিল। হঠাৎই একটি বাজি উড়ে গিয়ে পড়ে টিনের চালে। মূহুর্তের মধ্যে আগুন ধরে যায় এলাকায়। ছড়িয়ে পড়ে আগুন।
ঘোর কাটিয়ে উঠে স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিশে। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী হাসপাতালে। ঘটনার খবর পেয়ে কালেক্টর ও জেলা পুলিশ প্রধানসহ জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। পুলিশ এসে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আহতদের কাসারগোড, কান্নুর এবং ম্যাঙ্গালুরুর বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সকলে বাজি উৎসব দেখছিলেন। কাসারগোডের পুলিশ সুপার প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুযায়ী, অনুষ্ঠান দেখতে আসা লোকেরা একে অপরের খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়েছিলেন। পাশেই প্রচুর পরিমাণে আতশবাজি সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল। সেখানে আগুন লেগেই বাঁধে বিপত্তি। জানা গিয়েছে, মন্দির কর্তৃপক্ষ উৎসবের জন্য কোনও নির্দেশিকা অনুসরণ করেনি। নির্দেশিকা না মানা নিয়ে প্রেসিডেন্ট এবং সেক্রেটারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি তারা। এরপরই গ্রেফতার করে তারা।
গতকাল অর্থাৎ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে দীপাবলি সপ্তাহ। কোথাও কালীপুজো আবার কোথাও প্রদীপ জ্বেলে, বাজি পুড়িয়ে উৎসব উদযাপন করে থাকেন হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ প্রভৃতি সম্প্রদায়ের মানুষ। উৎসবে মেতে ওঠেন দেশবাসী। সপ্তাহের শুরুতেই এই ঘটনায় থমথমে পরিবেশ এলাকায়।
