সময়ের সঙ্গে বাড়ছে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশ্বজুড়ে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ উর্ধ্বমুখী। হৃদরোগ সাধারণত পুরুষদের হয়, কিছু দিন আগেও এমনটাই মনে করা হত। কিন্তু দিনকেদিন মহিলাদের এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এমনকী কম বয়সেও মারণ রোগ ঘিরে ধরছে মহিলাদের। সাম্প্রতিক চিকিৎসা তথ্য বলছে, অনেক ক্ষেত্রে মহিলাদের ঝুঁকি পুরুষদের চেয়ে আরও বেশি। আসলে মহিলাদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ পুরুষদের তুলনায় অনেকটাই ভিন্ন হয়, যা অনেক সময় এতটাই মৃদু হয় যে অনেকেই উপেক্ষা করেন। কোন কোন লক্ষণ দেখলে মহিলাদের সতর্ক হওয়া উচিত? জেনে নিন-
*হঠাৎ জ্ঞান হারানোঃ হৃদরোগের সবচেয়ে স্পষ্ট লক্ষণগুলির মধ্যে একটি হল হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলা। মস্তিষ্ক আর অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত গ্রহণ করতে পারার কারণেই এটি হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে রোগীকে ডাকলে কিংবা জোরে ঝাঁকালেও সাড়া দেন না কিংবা তাঁর জ্ঞান ফেরে না। এমন লক্ষণ নজরে এলে দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন।
*পালস না পাওয়াঃ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায় অথবা এত অনিয়মিতভাবে স্পন্দিত হয় যে এটি আর রক্ত পাম্প করতে পারে না। যার ফলে পালস ঠিকমতো পাওয়া যায় না। আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসও বন্ধ হয়ে যেতে পারে অথবা তিনি শ্বাস নিতে হলে হাঁপাতে থাকেন। এই ধরনের উপসর্গ কখনও অবহেলা করা উচিত নয়।
*বুকে ব্যথাঃ হৃদরোগের ক্ষেত্রে সাধারণত বুকের মাঝখানে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়। ধীরে ধীরে যা চোয়ালে অথবা বাম কাঁধ ও হাতে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এই রকম ব্যথা অনুভব করলেই সতর্ক হন।
*শ্বাসকষ্ট ও দম ফুরিয়ে যাওয়া: যদি হঠাৎ করে শ্বাস নেওয়ার সমস্যা দেখা দেয়, তবে তা মোটেও অবহেলা করা উচিত নয়। মনে রাখবেন, অল্পতেই দম ফুরিয়ে যাওয়া, মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়াও হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ হতে পারে।
*অনিয়িত হৃদস্পন্দনঃ অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের কারণে হৃদযন্ত্র রক্ত পাম্প করার ক্ষমতা হারায়। ফলে হঠাৎ হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রোগীর প্রাণ হারানোর আশঙ্কা থাকে।
*দুর্বলতা, মাথা ঘোরাঃ হৃদরোগের ক্ষেত্রে অনেক সময়ে রোগী অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন, কিছুক্ষণ কাজ করলে বুক ধড়ফড় করে। এই ধরনের উপসর্গ জানান দেয় যে আপনি হৃদযন্ত্র ঠিক মতো কাজ করছে না। বিশেষ করে মহিলাদের হার্টের সমস্যার এটি প্রধান লক্ষণ।
*অতিরিক্ত ঘাম হওয়া: অতিরিক্ত ঘাম হওয়া হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা হওয়া ছাড়াও অতিরিক্ত ঘাম, বুক ধড়ফড়, হঠাৎ শরীর খারাপ লাগতে শুরু করলে অব্যশই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
