সুস্বাস্থ্যের জন্য হোক কিংবা পছন্দের পোশাকে নিজেকে মানানসই দেখতে, স্লিমফিট হতে চান কম-বেশি সকলেই। তবে কয়েক দিন কড়া ডায়েট কিংবা ঘণ্টার পর ঘণ্টা শরীরচর্চার পর অনেকেরই মধ্যেই ওজন কমানোর চেষ্টায় খামতি দেখা যায়। কেউ আবার লাইপোসাকশনের মতো ‘শর্ট কাট’ পদ্ধতি অবলম্বন করেন। লাইপোসাকশন সার্জারি করে রুপোলি পর্দার তারকারা তো বটেই, ইদানীং আমজনতাও ঝটপট ঝরিয়ে ফেলছেন শরীরের বিভিন্ন জায়গার বাড়তি মেদ। কিন্তু যতই হোক সে তো সার্জারি, তাই ইচ্ছা থাকলেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ে পিছিয়ে আসেন অনেকে। কিন্তু যদি একটি পানীয়তে চুমুক দিয়েই ঝটপট মেদ ঝরিয়ে ফেলতে পারেন? এক্কেবারে লাইপোসাকশনের মতো ফল পান? শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবেই রয়েছে এমনই এক বিশেষ পানীয়। যা খেলে ঘরোয়া একটি পানীয় খেয়েই মাত্র তিন দিনে শরীরে লাইপোসাকশনের মতো প্রভাব দেখতে পাবেন। এই পানীয়টি এতটা কার্যকরী যে খুব তাড়াতাড়ি আপনার ওজন কমবে।
উপকরণঃ আপেল, দারচিনি, হলুদ, জল
কীভাবে বানাবেন: একটি সসপ্যানে একটি আপেল টুকরো করে কেটে দিন৷ সঙ্গে দিন দুটি দারচিনির টুকরো এবং এক চামচ হলুদ। সমস্ত উপকরণ ৩০০ মিলি জলে ফোটাতে থাকুন। প্রায় ৮ মিনিট ফোটানোর পর ছেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে 'ম্যাজিক ড্রিঙ্ক'। নিয়মিত রাতে ঘুমোতে যাওয়ার ৩০ মিনিট আগে এই পানীয় পান করুন। যদি আপনার কম সময়ে ওজন কমানোর লক্ষ্য থাকে তাহলে দারুণ উপকার পাবেন।
আরও পড়ুনঃ রাতে বিছানায় এপাশ-ওপাশ করেই কেটে যায়? শোওয়ার আগে খান এই ৩ ফল, নিমেষে দু’চোখ জুড়ে আসবে ঘুম
আপেলে রয়েছে বেশি পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ, ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। এছাড়াও এই ফলের ম্যালিক আসিড কিডনি ও লিভারকে ডিটক্সিফাই করে৷ যে কোনও খাবার যা বিপাকের হার বৃদ্ধি করে, তা ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও সহায়ক। এছাড়াও আপেলের কোয়ারসেটিন প্রদাহ কমাতে এবং রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধে সাহায্য করে। আপেলের দ্রবণীয় ফাইবার অর্থাৎ পেকটিন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। আপেলের ত্বকই হল সবচেয়ে বেশি উপকারী। তাই আপেল খাওয়ার সময় খোসা ছাড়াবেন না। নিয়মিত আপেল খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে এবং রক্তচাপ কমে।

ওজন কমানো এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দারচিনি খুব উপকারী। দারচিনি প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও রয়েছে যা শরীরকে দূষণমুক্ত রাখতে সাহায্য করে, পরোক্ষে ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও কার্যকর ভূমিকা নেয়। ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে এবং কাশি ও সর্দির লক্ষণগুলি থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুনঃ হেঁশেলেই লুকিয়ে ডায়াবেটিসের মহৌষধ! পেট, ত্বকও রাখে ভাল, কী জানলে রোজ খাবেন
হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন, যা বিপাকহার বাড়িয়ে তুলতে এবং ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে অনুঘটকের কাজ করে। ব্যথা-বেদনা সারাতে বহুকাল ধরে হলুদ ব্যবহার করা হয়। আসলে শরীরকে ভিতর থেকে সারিয়ে তোলে হলুদ। তার সঙ্গে গোলমরিচ যুক্ত করলে আরও তাড়াতাড়ি কাজ হয়।
